উপরে যে ছবিগুলো দেখছেন তা একটি মসজিদের নয়। এগুলো তিনটি ভিন্ন মসজিদ যা দেখতে হুবহু একই রকম। এই মসজিদগুলো আল কোওজ, মুহাইসিনাহ এবং আল হুদাইবার সংযোগস্থলে অবস্থিত, যা এই অঞ্চলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
শেখ রশিদ বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নামানুসারে, এই মসজিদগুলো তাদের অত্যাশ্চর্য সাদা বহির্ভাগে সোনালি বিবরণ দিয়ে সজ্জিত। প্রতিটি মসজিদের চারপাশে ১৫টিরও বেশি ছোট গম্বুজ সহ দুটি সুউচ্চ মিনার এবং একটি বিশাল কেন্দ্রীয় গম্বুজ রয়েছে।
তবে এটা শুধু বাইরের সৌন্দর্যের কথা নয়। ভিতরে একটি বিলাসবহুল অভ্যন্তর যার শৈলী অসাধারণ। গম্বুজ, স্তম্ভ ও ছাদে মার্জিত আলো এবং সূক্ষ্ম কারুকার্যসহ অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য মন কেড়ে নেয়। বড় জানালাগুলো প্রাকৃতিক সূর্যের আলোর হাতছানি দিয়ে মসজিদের নির্মল পরিবেশকে আরো মনোরম করে তুলে।
জাঁকজমক থাকা সত্ত্বেও মসজিদগুলোর স্থপতি এবং ডিজাইনাররা মুসল্লিদের আরামের কথা মাথায় রেখেছেন। প্রতিটি মসজিদ ২৫টিরও বেশি সারি রয়েছে। প্রতিটি সারিতে,প্রায় ৩৫ জন মুসল্লি জড়ো হতে পারে। অভ্যন্তরীণ কার্পেট প্রশান্তিদায়ক নীলরঙে সজ্জিত। মসজিদগুলো একটি উপযোগী নির্মল পরিবেশ তৈরি করে মুসল্লিদের জন্যে এবং যা আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মুহাইসিনাহ এবং আল হুদাইবার মসজিদের তুলনায় আল কোওজের মসজিদটি আকারে কিছুটা ছোট হতে পারে। আল কুওজ, মুহাইসিনাহ বা আল হুদাইবা নজর কাড়বে সবার এবং সবাইকে বিস্মিত করবে।
মুহাইসিনাহ-এর বাসিন্দা আকরাম আজিজ বলেন, নিখুঁত পরিবেষ্টিত আলো এটিকে আমার চোখ, শরীর এবং আত্মাকে প্রশান্তিময় করে তোলে। গত দুই বছরে তারাবির নামাজের জন্য মুহাইসিনাহ মসজিদে থাকাটা আমার জন্য সত্যিই বিশেষ। মসজিদের অভ্যন্তরটি খুব শান্তিপূর্ণ।