ডিবি কার্যালয়ে দুই জবির শিক্ষক, জানালেন নিজের দোষে ফেল করেছে মিম

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ছাত্রী কাজী ফারজানা মীম কর্তৃক শিক্ষক আবু সাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে তোলা যৌন হয়রানির অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল দুই শিক্ষককে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম সাংবাদিকদের বলেন, নিজের দোষে ফেল করেছে মিম। তাকে ডেকেও মিড টার্ম বা এসাইনমেন্ট করানো যায়নি। ১০০ মার্কসের মধ্যে পাস ৪০ এ। সেখানে সে পেয়েছে ২৩.৫০।

ডিবি কার্যালয়ে ডাকা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হালিম বলেন, ডিবি প্রধান আমাদের ডেকেছিলেন। নানা বিষয়ে জানতে চাইলেন। আমরা আমাদের মতো করে সব বলেছি। অভিযোগ তো দুই রকমের। এর মধ্যে একটা যৌন হয়রানি সংক্রান্ত। সেটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার ফলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানিসংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট (তদন্তকারী, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সাক্ষী) কেউ কথা বলতে পারবো না। এটা বিচারাধীন।
তবে অন্য বিষয়টি ছিল মিমের ফেল ইস্যু? মিম নামে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় কীভাবে শূন্য পেল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‍বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট ফাইনাল করার একটা ফর্মুলা আছে। গোপনীয়ভাবে খামে নম্বরপত্র সংগ্রহ করা হয়। এইক্ষেত্রে বিধিটাই এমন। গোপনীয়ভাবে নম্বরপত্র সিলগালা করে সংগ্রহ করা হয়। কেউ যদি ১০০ স্কোরের মধ্যে ৪০ পায় তাহলে সে পাস। বেশি হলে ফর্মুলা অনুযায়ী গ্রেড নম্বরটা হয়।

হালিম বলেন, ওই শিক্ষার্থী সেকেন্ড ইয়ারের সেকেন্ড সেমিস্টারে এক কোর্সে যেটা আরেকজন শিক্ষক নিয়েছেন তার নাম হুমায়রা ফাতেমা আমিন। ওই কোর্সে ৪০ মার্কস থাকে। দুটো মিড টার্মে ১০+১০=২০, এসাইনমেন্ট-১০, ক্লাস এটেন্ডেন্ট-১০। এই ৪০ মার্কস শুধুমাত্র ওই কোর্স টিচারের এখতিয়ার। অন্য কেউ বা অন্য কোনো শিক্ষক এটার রেসপন্সিবলও না। ওই শিক্ষার্থী ম্যাডামের ৪০ মার্কসের কোনো কাজে যোগ দেয় নাই। মিড টার্ম বা এসাইনমেন্টও জমা দেয়নি। তিনবার নোটিশ দিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষক মিড টার্ম নিয়েছে। কিন্তু মিম যোগাযোগও করেনি। শিক্ষক তো আর অনন্তকাল বসে থাকবে না। সে কারণে সে জিরো পেয়েছে। এখন তার পাস ফেল তো বাকি ৬০ মার্কসের মধ্যে। সেখানে যদি সে ৪০ পাইতো তাহলেও সে পাস করতো। কিন্তু সেটা সে পায়নি।

সে সেকেন্ড ইয়ারে ফেল, এরপর চতুর্থ সেমিস্টারে আরেকটা কোর্সেও ফেল আছে। আর সপ্তম সেমিস্টারে কনটিউনিটি ফিল্ম রাইটিং কোর্স আছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমরা চারটা করাই। খুবই কঠিন। সিনেমা তৈরি করতে এসব শেখানো হতো।

#