কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও মেয়ে মাহমুদার (৭) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, আজ দুপুর ১টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল। এর আগে এ ঘটনায় আরও এক নারীর মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন।
দুর্ঘটনার পর থেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পুলিশ সদস্য সোহেল রানা (৩৫) ও তার ছেলে রায়সুল (৫), রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।
এদিকে, বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন মাঝিকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। বালুবাহী বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি নৌকা নিয়ে ১৬ যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯/১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় রুবা নামের এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগিনা মারিয়াকে অন্য আরেকটি ট্রলার জীবিত উদ্ধার করেন। বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।