নারীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষজ্ঞের ১০ পরামর্শ

:
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং  সুস্থতা বোঝায়। কারণ শরীর এবং মন পরস্পর যুক্ত। একটি ভালো না-থাকলে, অন্যটিও ভালো থাকে না। তাই যত্ন নিতে হবে দুই স্বাস্থ্যের। নারীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ পরামর্শ দিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক রাবেয়া ফেরদৌসী।

 

১. সুষম খাদ্য গ্রহণ ও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

২. ৩০-এর পর থেকেই স্বাস্থ্যের বিষয়ে কিছুটা বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ এ সময় থেকেই কিছু হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে, মাতৃত্বজনিত পরিবর্তনও সূচিত হয়। তাই যত্ন, সচেতনতাও অতিরিক্ত চাই।

 

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নিয়ন্ত্রণ মানে মডেলদের মতো দৈহিক অবয়ব হতে হবে এমন নয়। বরং সুস্থ থেকে, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও কায়িক পরিশ্রম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যা বিএমআই সূচক হিসেবে ওই বয়স, উচ্চতা ও কাজের পরিধি সাপেক্ষে সঠিক।

৪. ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া। উপযুক্ত, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই এর মূল শক্তি। বাহ্যিক এটা সেটার ব্যবহার কতটা ফলপ্রসূ সেটা প্রশ্ন রাখে।

 

৫. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা এবং সেটা বায়োলজিকাল ক্লক মেনে। অর্থাৎ অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং সর্বোচ্চ রাত ১২টার মধ্যেই ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। যখন খুশি তখন ঘুম ভালো ফল দেবে না।

৬. খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত শর্করা, লবণ, চিনি, কোমল পানীয় ও জাঙ্ক ফুডের অন্তর্ভুক্তি কমিয়ে দিতে হবে। পরের ৩টি পুরো বাদ দিতে পারলে ভালো।

৭. কায়িক পরিশ্রম মানে গার্হস্থ্য বা অফিসিয়াল কাজ নয় কেবল। নিয়মিত ব্যায়াম সম্ভব না হলেও হাঁটা একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত, নির্দিষ্ট সময় হাঁটুন।

 

৮. মেডিটেশন। নিজ নিজ ধর্মাচারও আপনাকে ভালো রাখতে ভূমিকা রাখবে। বা এক ধরনের মেডিটেশন হিসেবে সাহায্য করতে পারে।

৯. নেতিবাচক মানুষ পরিহার করা। সম্ভব না হলে এড়িয়ে চলা এবং নিজের সমস্ত নেতিবাচক অনুভব ত্যাগ করার চেষ্টা করা।

 

১০. লাস্ট বাট নট লিস্ট। এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মনের যত্ন নেওয়া। সারাদিনে অন্তত ১০ মিনিট হলেও নিজের ভালো লাগার জন্য কোনো একটা কিছু করা। জাগতিক কোনো লাভ-ক্ষতির হিসাব না করে (অবশ্যই অন্যের কষ্টের কারণ না হয়ে) শুধু নিজের ভালো লাগার জন্য কিছু করা উচিত।

#