সবধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, বাংলাদেশের সংবিধানের এই চার মূলনীতি সমতা ও সমঅধিকারকে উদ্বুদ্ধ করে। বৈষম্য নিরসনে সরকার কাজ করছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে ‘১৪৮তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস’ শীর্ষক ইভেন্টে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য, যেখানে সবার জন্য সমতা, আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকবে। আমাদের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সবার সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয়লাভের অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা, নারীর বিরুদ্ধে সবধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনসহ সব আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাংলাদেশ।
বৈষম্যবিরোধী আইন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করেন ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী একটি বিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিলটি সমাজের সব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বন্ধ করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
এ সময় জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।