দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নিরাপত্তায় পাকিস্তানি নাগরিক

: মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী, দবাই
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের আওতাধীন দুবাই কনস্যুলেট অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন আদনান আসিফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেবা নিতে গেলে পাকিস্তানিদের সঙ্গে উর্দুতে কথা বলতে হচ্ছে তাদের।
এ কারণে ছোটখাটো তথ্য পেতেও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। দ্রুত সেবা পেতে বাধ্য হয়েই নিজের দেশের কনস্যুলেট অফিসে উর্দুতে কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন প্রবাসীরা। বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরেই ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন দুবাইয়ে বসবাসরত সচেতন বাংলাদেশিরা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কনস্যুলেট অফিস সরাসরি কাউকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেয়নি। মূলত একটি এজেন্সির কাছ থেকে এ সার্ভিস নেওয়া হয়। তারাই কনস্যুলেট অফিসে নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহ করে।
কনস্যুলেটের অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকা আমীনুর রশীদ জানান, আগে দায়িত্ব পালন করতেন এক নাইজেরিয়ান। নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশি কাউকে না দিয়ে পাকিস্তানি নাগরিককে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা নিয়োগ দিয়েছেন বুঝে-শুনেই দিয়েছেন। এখানে ১০ বাংলাদেশিকে দাঁড় করিয়ে দিলেও তাদের কথা কেউ শুনবে না। ভিনদেশিকে দায়িত্ব দেওয়ার কারণে কিছুটা হলেও তার কথা শুনে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনস্যুল জেনারেল বি এম জামাল উদ্দিনের সঙ্গে। এমন প্রশ্ন করা হলে অনেকটা চমকে ওঠেন কনস্যুল জেনারেল। পরে অবশ্য তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নিরাপত্তাকর্মীর বিষয়টি আসলে সরাসরি কনস্যুল অফিস দেখে না। একটি কোম্পানি সরবরাহ করে। তারা কোন দেশের নাগরিককে দায়িত্ব দেয়, তা জানার প্রয়োজন হয় না।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শাহরিয়ার কবির গণমাধ্যমকে বলেন, কনস্যুলেট অফিসের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় নিরাপত্তার বিষয় যেমন রয়েছে। তেমনি রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার ব্যাপারও রয়েছে। বিদেশের মাটিতে যেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশি বেকার রয়েছে, সেখানে যারা এ পাকিস্তানিকে নিয়োগ দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

#