বান্দরবানে পৃথক যৌথ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ছয় সদস্যসহ মোট আটজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় থানচিতে কৃষি ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহৃত জিপগাড়িসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার (৭ এপ্রিল) রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রুমার সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কেএম আরাফাত আমিন জানান, রুমা সেনাবাহিনীর অভিযানে ব্যাথেল পাড়া থেকে সাতটি দেশি বন্দুক, ২০টি রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, ল্যাপটপ, একজোড়া বুট, একটি ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেএনএফের আরও দুই সদস্যসহ সন্দেহভাজন হিসেবে রুমা সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকে আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা ও থানচিতে আটটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, থানচি থেকে একজন ও রুমা থেকে ছয়জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর আগে সদরের শ্যারণ পাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে (৫৫) আটক করা হয়। এ নিয়ে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযান এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হলো।
এদিকে কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অন্যদিকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনানী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় বেড়েছে। এতে বেড়েছে ভোগান্তিও।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক লুট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। তারমধ্যে রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি।