ইরান ও ইসরায়েল দুই দেশের মধ্যে যদি আসলেই পূর্ণ যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে কী ঘটবে? আর কে কার থেকে এগিয়ে আছে সামরিক শক্তিতে? এমন প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।
দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ কুড়িটি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর পরিসংখ্যান বলছে, ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।
ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার সম্ভাব্য পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চার মার্কিন মিত্র সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত। তবে এ চার দেশ তাদের মাটি ও আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে কোনো আক্রমণ করতে দেয়নি। মুসলিম দেশ হিসেবে একমাত্র জর্ডান ইসরায়েলকে সরাসরি সহযোগিতা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য সঙ্গে মিলে জর্ডান ইসরায়েল দিকে নিক্ষেপকৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংসে সহায়তা করেছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানে কোনো আক্রমণে যাবে না, তাও জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে।
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন কারো পক্ষাবলম্বন না করে উভয় পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল তার উপযুক্ত সময়ে ইরানকে পাল্টা জবাব দেওয়ারও শপথ নিয়েছে। এখন প্রশ্ন ইরানের সামরিক শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা আনতে কি সক্ষম হবে?
সূত্র : বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স ও আল জাজিরা