তীব্র গরমে করণীয়

: স্বাস্থ্য ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

দেশজুড়ে গরমের তীব্রতায় ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে জীবন। ঘর থেকে বের হলেই খরতাপে পুড়ে যাচ্ছে শরীর। গতকাল শনিবার যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিনেই ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকের পাশাপাশি মানুষের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়।

 তরল জাতীয় খাবারে গুরুত্ব দিন : পানি-ডাব-ওরস্যালাইন-ফলের রস এগুলো খেতে হবে। লেবুর শরবতও খাওয়া যেতে পারে। এচাড়া বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।

বাইরের খাবার, খোলা খাবার খাওয়া মানা : বাইরের খাবার যেন কেউ না খায়। বাইরের খাবার তো ওপেন থাকে। মাছি পড়ে। ধুলাবালি পড়ে। ওগুলোই মানুষ খেতে চায়।

বাইরের শরবত এড়িয়ে চলুন : প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হলে অনেকে বাইরের শরবত খেতে চান। গুড়ের শরবত, আখের রস ইত্যাদি। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরের শরবত কেলে ডায়রিয়া, জন্ডিস, টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে।

ঘরের খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে : এই গরমে নিজের ঘরে খাবার অনেকক্ষণ রাখলে কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। খাবার যেন টাটকা হয়, হালকা হয়।

চর্বিজাতীয় খাবারে না : গরুর মাংস, খাসির মাংসের মতো চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। শাকসবজি ও ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। চা-কফি কম খেতে হবে।

খাওয়ার পানিতে একটু লবণ : খাওয়ার পানিটা যেন বিশুদ্ধ হয়। দুর্বল লাগলে, ক্লান্ত লাগলে, মাথা ঘুরালে পানির মধ্যে একটু লবণ মেশানো যেতে পারে। যেহেতেু ঘামের সঙ্গে লবণটা বেরিয়ে যায়।

বাইরে যত কম যাওয়া : এই পরিবেশে বাইরে যত কম যাওয়া যায় তত ভালো। বাইরে কাজের সময় কমিয়ে আনা যেতে পারে।

একটানা রোদে না : একটানা রোদে না থেকে কিছুক্ষণ পর পর ছায়ায় জিরিয়ে নিতে হবে। একটানা থাকলে হিট বাড়তে বাড়তে একসময় ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। তখন হিটস্ট্রোক হয়। অজ্ঞান হয়ে মানুষ। এতে মৃত্যুও হতে পারে।

ঢিলেঢালা হালকা জামাকাপড় :  এই গরমে হালকা ঢিলেঢালা সুতির পোশাক গরতে হবে, মোটাজোতীয় কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে।

#