১. ব্যাধিগ্রস্ত যখন
সরলদোলকের মতো
সমব্যাসার্ধে দুলে যায়
আমার না- কাঁচা মস্তিষ্ক।
মধ্যাকর্ষণজনিত টানে
স্থিতিজড়তা বা গতিজড়তার
কায়ক্লেশে কখনও চলে,
কখনও স্থির হয়।
অথচ,
আমি শৈশবে ফিরে যাই
এক্কা-দোক্কা খেলার
শোলক বলা দিনগুলোতে।
সরলদোলক সে মুহূর্তে
পড়ে থাকে পদার্থবিদ্যার
ল্যাবরেটরিতে ধুলোপড়া যন্ত্র হয়ে।
জানি,
গতি ও জড়তা উভয়ই
আপেক্ষিক।
২. শখের ঘুড়ি
আমি এক আস্তাবলে
লাগামহীন শ্রমিক ঘোড়া;
সাওয়ারি রকমফের নেই।
খেই হারালে
নিজেকে বোঝাই,
পাঠচক্রে চোলাইয়ের মদ
গিলেছি,
পিলেতে চকম-ঠমক
চনমনিয়ে উঠিলেও
আস্তাবলই আস্তানা।
অন্তরঙ্গ দস্তানাটা
খুঁড়ে পরে
চলতে থাকি
নিজের মতো।
শব্দহীন
অনন্তের দিকে।
ফিঁকে লাগলেও
কোলাহলে নাকগলানো
নিষেধ।
চেঙদোলা করে
একবার নিজেকে
ফেলতে ইচ্ছে যে করে না
জনবহুল জলে,
তা নয়।
ভূমিক্ষয়ের ভয়ে
রক্ষে রক্ষে করে
এঘরেই রচনা করি,
নোনাজলের লাইটহাউজ।
৩. ফাঁকা বুলির ভর
কোনো কথার জাবর
কাটতে কাটতে,
আমি তোমাকে বেফাঁস
কিছু উগরে দিতে পারি।
তা নিয়ে তুমি
ফ্যাসিবাদী জার্নাল হলে,
বন্ধুত্বটা কিছুটা কমে বৈকি!
এসব পুরাতন রেকর্ড বাজা
বাঙালি স্বভাব আমার;
যদিও এ ধাচের আমি নই।
তাই বলে তুমি
বন্ধু না হয়ে
শত্রু হবে?
তবে তোমাকে আমি
দু’টো গালি
দিতেই পারি,
লাদেন অথবা
বৃটিশ।