আমনা খলিফা আল কেমজি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মহিলা কৃষক। কয়েক দশক আগে তার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি তার নিজের বাড়ির উঠোনে চাষ করা বিভিন্ন শাকসবজি ও ফল দিয়ে নয়টি ঝুড়ি ভর্তি দিয়েছেলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের কাছে। তার আবেগ ও প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়ে তৎকালীন শাসক তার কৃষি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে একটি খামার দিতে বলেন।
আজ আল কেমজি জৈব কৃষিতে অগ্রগামী হিসেবে স্বীকৃত। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তাকে আবুধাবি পুরস্কার প্রদান করেন। আবুধাবি পুরস্কার বিজয়ী আল কেমজি বছরের পর বছর ধরে টমেটো, আঙ্গুর, ডুমুর, তরমুজ, লালমরিচসহ বিভিন্ন ফসল ফলিয়েছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করে আল কেমজি নিজেকে শীতকালীন ফসল রোপণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি; গ্রীষ্মে ফসল চাষ করেছেন।
আল কেমজির অধ্যবসায় ও তার কৃষি উদ্যোগ তাকে ডুমুর, আঙ্গুরসহ ৭০টিরও বেশি জাতের শাকসবজি ও ফলের চাষ করতে পরিচালিত করে। আল কেমজি সবাইকে কৃষিকাজে নিয়োজিত করতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি প্রত্যেককে উৎসাহিত করি যার বাড়িতে জমি আছে, তা যত ছোটই হোক না কেন, সেখানে শাকসবজি ও ফল রোপণ করতে।
সুলতান বিন আলী আল ওয়াইস কালচার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী ম্যানেজার ইব্রাহিম আল হাশমিক আল কেমজিকে সত্যতা ও উদারতার প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই নারীকে প্রজন্মের জন্য আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।