বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও মানুষের উদ্ভব

: রেজাউল করিম
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

আজকে আমরা যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে দেখছি তার উদ্ভব ১৩৮০ কোটি বছর পূর্বে এক মহাবিস্ফোরণ (বিগব্যাংক)-এর মাধ্যমে। তারপর থেকে প্রসারণ ঘটতে থাকে মহাবিশ্বের যা আজো প্রসারণমান। মহাবিস্ফোরণের পর কল্পনাতীত সময়ে মহাবিশ্বের অস্বাভাবিক প্রসারণ ঘটে। এক সেকেন্ডের বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ভাগের একভাগ সময়ে (১০-৩০) বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন (১০৬০) গুণ বেড়ে যায়। অস্বাভাবিক প্রসারণ শেষে যখন স্বাভাবিক প্রসারণ শুরু হয় তখন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের তাপমাত্রা ছিল ১০৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি। প্রতিটি গ্যালাক্সিতে রয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নক্ষত্র। বিজ্ঞানী এডিংটনের মতে, প্রতি গ্যালাক্সিতে গড়ে দশ হাজার করে নক্ষত্র রয়েছে।

আমরা যে গ্যালাক্সিতে অবস্থান করছি তার নাম ছায়াপথ। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি ক্ষুদ্র অংশ আমাদের এই ছায়াপথ যা ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়েছে। ছায়াপথের একপ্রান্তে ছিল এক নেবুলা বা নিহারিকা। নেবুলা হচ্ছে ধুলিকণা, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ও আয়নিত গ্যাসের আন্তঃমহাকাশীয় মেঘ। কাছাকাছি কোনো এক নক্ষত্রের আঘাতে এটি ঘুরপাক খেতে খেতে কেন্দ্রীভূত হতে থাকে। নেবুলার ৯৯.৯ অংশ কেন্দ্রীভূত হয়ে প্রচণ্ড চাপে ও তাপে ফিউসান প্রক্রিয়ায় জ্বলে উঠে। সৃষ্টি হয় একটি নক্ষত্রের। নাম তার সূর্য। নেবুলার বাকি ০.১ অংশ সূর্যর চারদিকে ঘুরতে থাকে এবং জমাট বাঁধতে থাকে। জমাট বাঁধা অংশগুলো হচ্ছে বিভিন্ন গ্রহ। আমাদের পৃথিবীও তেমন একটি গ্রহ। তাহলে সূর্য হচ্ছে এই ছায়াপথের একটি নক্ষত্র যা সৃষ্টি হয়েছে ৪৬০ কোটি বছর পূর্বে। সূর্যের একটি গ্রহ হচ্ছে পৃথিবী যার সৃষ্টি ৪৫৪ কোটি বছর পূর্বে। ৪৪০ কোটি বছর পূর্বে থিয়া নামে এক বিশাল গ্রহাংশের সাথে পৃথিবীর এক মহাজাগতিক সংঘর্ষ হয়। এতে সৃষ্টি হয় একটি উপগ্রহের। তার নাম চাঁদ। এই সময় পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত। ধীরে ধীরে পৃথিবী ঠাণ্ডা হতে থাকে। হতে থাকে বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে পৃথিবী ভরে গেল। প্রকৃতিতে রয়েছে চার ধরনের শক্তি। যথা- মহাকর্ষ, নিউক্লিয়াস, দুর্বল নিউক্লিয়াস এবং বিদ্যুৎ চৌম্বকীয়। এই মহাকর্ষ বলের কারণে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে, চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।

৪০০ কোটি বছর পূর্বে সমুদ্রের নিচে প্রাণের আবির্ভাব হয়। আর তা ছিল সহজ সরল এককোষী প্রাণী, নাম অ্যামিবা। এককোষী প্রাণীরা নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করে বিভাজন প্রক্রিয়ায়। কোষগুলো পুষ্টিকর খাবার পেলে যথাসময়ে ফেটে যায় এবং একটি কোষ দুইটি পূর্ণাঙ্গ কোষে রূপান্তরিত হয়। ভাইরাসের জন্মও হয় এই সময়ে। ২৪০ কোটি বছর পূর্বে জন্ম হয় ব্যকটেরিয়ার। ব্যাকটেরিয়া বর্জ্য হিসেবে এক ধরনের পদার্থ ত্যাগ করে। আর তা হচ্ছে অক্সিজেন। পৃথিবীতে একটু একটু করে জমতে থাকে অক্সিজেন। প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। অক্সিজেন সৃষ্টির পর নানা ধরনের বিক্রিয়ায় পৃথিবীর পরিবেশের পরিবর্তন হতে থাকে। সৃষ্টি হতে থাকে নানা জীব। ২০০ কোটি বছর পূর্বে সৃষ্টি হয় ইউক্যারিটিক কোষ বা নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ। এই ইউক্যারিটিক কোষগুলো অক্সিজেন ত্যাগকারী ব্যাকটেরিয়াকে গ্রহণ করে নতুন আরেক ধরনের কোষে রূপান্তরিত হয়। ব্যাকটেরিয়াগুলো ধীরে ধীরে ক্লোরোপ্লাস্টে পরিণত হয়। এতে করে সালোক সংশ্লেষণের উদ্ভব হয়।

৯০ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে বহুকোষী প্রাণীর জন্ম হয়। বহুকোষী প্রাণীর মাধ্যমে সত্যিকার প্রাণীর উদ্ভব হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বহুকোষী প্রাণীগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্যে নানা ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে থাকে। ৫৫ কোটি বছর পূর্বে ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ নামে এক ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে নানা ধরনের বিচিত্র প্রাণীতে সমুদ্র ভরে যায়। এই সময় জন্ম নেয় মেরুদণ্ডী প্রাণী। ধীরে ধীরে পৃথিবী গাছপালায় ঢেকে যায়। ৫০ কোটি বছর পূর্বে সমুদ্রে জন্ম নেওয়া মেরুদণ্ডী প্রাণীদের একটি অংশ ডাঙ্গায় উঠে আসে। তা থেকে জন্ম হয় পোকামাকড় ও চতুষ্পদ জন্তুর। বহুকোষী প্রাণীগুলো একাকী বংশবিস্তার ঘটাতে পারে না। এই জন্য দরকার হয় পুংজননকোষ এবং স্ত্রী জননকোষ বা ডিম্বকোষের। দুই জননকোষের মিলনের ফলে বংশ বিস্তার ঘটে।

৩০ কোটি বছর পূর্বে চতুষ্পদ জন্তু থেকে জন্ম নেয় ডাইনোসর। অনেক ধরনের ডাইনোসর ছিল। কোনোটা তৃণভোজী, কোনোটা মাংসাশী। আকার আকৃতিও ছিল নানা ধরনের। কোনোটা আকাশে উড়তে পারত। উড়তে পারা ডাইনোসরের একটি প্রজাতি বিবর্তিত হয়ে পাখিতে রূপান্তরিত হয়। ছোট চড়ুই পাখিটির পূর্বপুরুষ ছিল অতিকায় ডাইনোসর। বিবর্তনের কারণে ছোট প্রজাতি থেকে বড়ো প্রজাতি এবং বড়ো প্রজাতি থেকে ছোট প্রজাতির উদ্ভব ঘটতে পারে। সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে একটি গ্রহানু এসে পৃথিবীকে জোরে আঘাত করে। সেই প্রচণ্ড আঘাতে পৃথিবী ধুলিকনায় ভরে যায়। পৃথিবী শীতল হয়ে যায়। পরিবেশের এই বিপর্যয়ে ডাইনোসররা আর টিকতে পারেনি। তারা বিলীন হয়ে যায়।

২০ কোটি বছর পূর্বে সরীসৃপ থেকে ছোট নেংটি ইঁদুরের মতো স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব হয়। এতদিন তারা ডাইনোসরের ভয়ে প্রকাশে আসতে পারেনি। ডাইনোসর বিলুপ্ত হলে স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বাইরে এসে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি অংশ ডাঙ্গায় থেকে পানিতে নেমে যায়। কালক্রমে তারা তিমি ও ডলফিনে রূপান্তরিত হয়। তিমি ও ডলফিন স্তন্যপায়ী প্রাণী, মৎস্য নয়।

স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি অংশ ডানাযুক্ত। তারা আকাশে উড়তে সক্ষম হয়। যেমনÑ বাঁদুর। একটি অংশ ডাঙ্গায় চরে বেড়ায়। যেমন- হাতি, সিংহ, জিরাফ, জেবরা, গণ্ডার প্রভৃতি। এদের নাম ফেনাডোকাস। আকৃতিতে এরা শিয়ালের চেয়ে বড় ছিল না। আরেকটি অংশ হিংস্র ও মাংসাশী। এদের বলা হতো ক্রিয়োডোন্ট। কালক্রমে এরা দুই ভাগ হয়। এক দলের চেহারা কুকুরের মতো। যেমন- কুকুর, নেকড়ে বাঘ, ভালুক প্রভৃতি। আরেক দলের চেহারা বিড়ালের মতো। যেমন- বিড়াল, বাঘ, সিংহ প্রবৃতি। স্তন্যপায়ীদের  আরেকটি অংশ গাছে আশ্রয় নেয়। তারাই হচ্ছে প্রাইমেট। ৫.৫ কোটি বছর পূর্বে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের একটি প্রজাতি বিবর্তিত হয়ে এই প্রাইমেটের জন্ম হয়। ৪ কোটি বছর পূর্বে একবার এবং ২.৫ বছর কোটি পূর্বে আরেকবার প্রাইমেট দুইভাগে বিবর্তিত হয়। যথাÑ বানর ও এপ। বানরের লেজ আছে, এপের লেজ নেই। এই এপ প্রজাতি থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে গিবন, ওরাংওটান, গরিলা পৃথক হয়ে যায়। সব শেষে পৃথক হয় শিম্পাঞ্জি।

১.৯ কোটি বছর পূর্বে গিবন, ১.৬ কোটি বছর পূর্বে ওরাংওটান, ৯০ লক্ষ বছর পূর্বে গরিলা এবং ৬০ লক্ষ বছর পূর্বে শিম্পাঞ্জি এপ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার পর যারা রয়ে যায় তারাই হচ্ছে মানুষের পূর্বপুরুষ। এপের সর্বশেষ বিবর্তিত রূপ হচ্ছে শিম্পাঞ্জি ও বন মানুষ। এজন্য মানুষের সাথে শিম্পাঞ্জির ডিএনএ এর মিল ৯৮.৬ শতাংশ, ওরাংওটানের সাথে ৯৭ শতাংশ এবং বানরের সাথে ৮৫ শতাংশ। শিম্পাঞ্জির হাতের আঙ্গুল, তালু, পায়ের আঙ্গুল, পায়ের পাতা, মুখাবয়ব, মস্তিষ্ক, দেহের গঠনের সাথে মানুষের সাদৃশ্য রয়েছে। বন মানুষদের একটি অংশ গাছের বাসা ছেড়ে নেমে আসে সমতল ভূমিতে। সমতল ভূমিতে এসে তারা সোজা হয়ে দাঁড়াতে শেখে এবং চার পায়ের পরিবর্তে দুই পায়ে চলতে শেখে। ৬০ লক্ষ বছর আগে বন মানুষ খাড়া হয়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়।

পৃথিবীর নানা জায়গায় নানা ধরনের মানুষের ফসিল পাওয়া গেচে। বিজ্ঞানীরা সেই ফসিলগুলো পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে মানুষের সর্বশেষ চারটি প্রজাতির কথা উল্লেখ করেছেন। যথা- ১. হোমো ইরেক্টাস, ২. হোমো ফ্লোরোসিয়েন্সিস, ৩. হোমো নিয়ানডারথাল এবং ৪. হোমো স্যাপিয়েন্স।

প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় হোমে ইরেকটাস প্রজাতির আবির্ভাব হয়। তাদের একটি অংশ আফ্রিকা থেকে এশিয়া ও ইউরোপে ছড়িয়ে পরে। তারা পাথরের ভোতা অস্ত্র তৈরি করতে এবং আগুন জ্বালাতে শিখে। এক লক্ষ বছর আগে তারা বিলুপ্ত হয়। হোমো ইরেক্টাসের একটি অংশ ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরো দ্বীপে দীর্ঘদিন বেঁচেছিল। এরা আকৃতিতে ছোট ছিল। পূর্ণ বয়স্ক মানুষের উচ্চতা তিন ফুটের মতো ছিল। বারো হাজার বছর আগে এদের বিলুপ্তি ঘটে। হোমে ইরেকটাসের আরেকটি অংশ থেকে নিয়ানডারথাল প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। তারা শীতল আবহাওয়ায় থাকার জন্য উপযোগী ছিল। তারা সিরিয়া, ইরাক, ইসরাইল, রাশিয়া, জার্মানি, স্পেন ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের ফসিল পাওয়া গেছে। তাদের মাথার আকার ও গঠন হোমো স্যাপিয়েন্সদের মতো। ৩৫ হাজার বছর আগেও তাদের অস্তিত্ব ছিল।

৩৫-৪০ হাজার বছর আগে ইউরোপে ক্রোম্যাগনন প্রজাতি নামে এক ধরনের মানুষ ছিল। এরা লম্বায় ১.৮ থেকে ১.৮৩ মিটারের মধ্যে, লম্বাটে মাথা, থ্যাবরা মুখ, উঁচু চোয়াল, পেশিবহুল প্রত্যঙ্গ। চেহারার দিক দিয়ে আধুনিক মানুষের মতো। এদের শিকার পদ্ধতি নিয়ানডারথালদের চেয়ে উন্নত ছিল। এরাও এক সময়ে বিলুপ্ত হয়ে যায়। আধুনিক মানুষের প্রজাতি হোমো স্যাপিয়েন্স ৫০-৭০ হাজার বছর পূর্বে আফ্রিকা থেকে এশিয়া ও ইউরোপে পদার্পন করে। তাদেরকে নিয়ানডারথাল প্রজাতির সাথে লড়াই করতে হয়েছে। এক পর্যায়ে পৃথিবী থেকে সকল প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটলে হোমো স্যাপিয়েন্সরা ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এরা চীন হয়ে আলাস্কার ভেতর দিয়ে উত্তর আমেরিকায় এবং উত্তর আমেরিকা থেকে দক্ষিণ আমেরিকায় ঢুকে পড়ে। প্রায় দুই লক্ষ বছর পূর্বে হোমো ইরেকটাসের অংশ থেকে হোমো স্যাপিয়েন্সের উদ্ভব হয়। এরা কখনো আফ্রিকা ত্যাগ করেনি। এরা আফ্রিকা ত্যাগ করে ৫০-৭০ হাজার বছর পূর্বে। এদের পূর্বে যারা আফ্রিকা ত্যাগ করেছিল তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বিবর্তনবাদের মূল কথা একই উৎস থেকে সকল জীবের উৎপত্তি। জগৎ পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে যারা খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে তারাই টিকে আছে। তবে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে প্রাণীর হয়েছে নানা পরিবর্তন, রূপান্তর ও বিবর্তন। কেউ বলতে পারেন, এত আগের ঘটনা কীভাবে জানা সম্ভব? উত্তর হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা জীবদেহের জীবাশ্ম বা ফসিল তেজস্ক্রিয় কার্বন ডেটিং করে সেটা কত পুরানো তা বের করে ফেলেন। তারপর ফসিল বিশ্লেষণ করে তা কোন প্রাণীর,  তা কীভাবে এসেছে, তার পূর্বপুরুষ কারা ছিল, কেমন ছিল ইত্যাদি তথ্য বের করেন। আমাদের মানবদেহ কোষে এমন কিছু জিন রয়েছে যা অবিকৃতভাবে পিতামাতা থেকে সন্তানের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এভাবে আমরা পূর্ব পুরুষের জিন বহন করে চলেছি যা ডিএন এ, আর এন এ, জিনোম সিকুয়েন্সিতে ধরা পড়ে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক ও সম্পাদক, এনসিটিবি

সহায়ক গ্রন্থ :

১. পৃথিবীর ইতিহাস, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

২. সৃষ্টি রহস্য, আরজ আলী মাতুব্বর

৩. মানুষের ইতিহাস (প্রাচীন যুগ), আবদুল হালিম ও নূরুন্নাহার

৪. বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েন্স, ড. জাফর ইকবাল

৫. বিবর্তনের পথ ধরে, বন্যা আহমদ

৬. শূন্য থেকে মহাবিশ্ব, মীজান রহমান ও অভিজিৎ রায়

৭. পৃথিবীর পরিচয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৮. সেপিয়েন্স, ইউভাল নোয়া হারারি

৯. The Origin of Species by Means of Natural Selection, Charles Darwin

১০. The Grand Design, Stephen Hawking

#