মিল্টন সমাদ্দার আরও ৪ দিনের রিমান্ডে, ডিবিতে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ফেসবুকে বেশ আলোচিত ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। মানব পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালত এ নির্দেশ দেন। আজ রোববার (৫ মে) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এই আদেশ দেন। এদিকে গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন, টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, সেখানকার বিভৎস্যজনক ছবি স্ত্রী মিঠু হালদারকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ।

এর আগে মৃত্যুসনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এরপর তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম।

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে ও আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। এছাড়া মানবপাচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন, টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, সেখানকার বিভৎস্যজনক ছবি স্ত্রী মিঠু হালদারকে দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও দায় এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন, ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তার অপরাধ কার্যক্রম সম্পর্কে আজকে তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব কিছু জেনেও পুলিশ এবং মিডিয়াকেও কিছুই জানাননি।

মিঠু হালদারের কোনো যোগসাজশ বা সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি-না জানতে চাইলে হারুন বলেন- দিনের পর দিন রাতের পর রাত এভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা সংগ্রহ, আর্তমানবতার তথাকথিত সেবার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যেসব রোগীকে দেখিয়ে টাকা আয় করেছেন, অথচ তাদের সেবাযত্ন করেননি, ডাক্তারের কাছে পাঠাননি। সেখানে তো স্ত্রী মিঠু হালদার যেতেন। তিনি নিজেও তো নার্স। তাহলে স্বামীর অনিয়ম অপকর্ম জেনেও থানা পুলিশ বা কাউকে অবগত করেননি। প্রতিবাদ করেননি। স্বামীর অপকর্মের দায় তাই স্ত্রী হিসেবে মিঠু হালদার দায় এড়াতে পারেন না।

তবে তিনি দাবি করেছেন, ফাউন্ডেশনের নামে যেসব টাকা পয়সা এসেছে, একাউন্ট বা কোনো কিছুতে তার নাম(মিঠু হালদার) নাই। মিঠু হালদার গ্রেপ্তার হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে।

#