সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাট আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তর্গত আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণাধীন বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছোট পরিসরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যায়। গতকাল সারারাত বনকর্মীরা সব স্থানের আগুনই নিভিয়ে ফেলেন। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং এর মাধ্যমে আজ তিনবার আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। অপরদিকে, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর।
অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি ছিলো ৭.৯ একর যার মধ্যে ৫ একর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বন বিভাগের টহল দল আগুন মনিটরিং এবং কোনো স্থানে নতুন কোন আগুনের সূত্রপাত ঘটলে তা নিভিয়ে ফেলার জন্য দায়িত্বরত থাকবেন। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্বরত আছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের আগুন নির্বাপন কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন।
অপরদিকে, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-কে সভাপতি এবং খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যগণ হলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি; সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এস.এম ফিরোজ; আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ম্যানগ্রোভ ইকোলজিস্ট এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের প্রফেসর ড. স্বপন কুমার সরকার এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি এর প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।