হামাস যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি হয়েছে। ইসরাইল যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার জন্য বিশাল কূটনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সাময়িকভাবে ভুল করে ফেলেছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট সোমবার বলেছে, তারা হামাসের শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে মিত্রদের সাথে পরামর্শ করবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান। সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বক্তৃতায় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর এ যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইসরাইলের নেতৃত্বের প্রতি চাপ বাড়াতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা হামাসের বিবৃতিকে স্বাগত জানাই, তারা আমাদের পরামর্শে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে। এখন ইসরাইলকেও একই পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফ্রান্স ইতিমধ্যেই বলেছে, মিশর-গাজা সীমান্তে রাফাহ শিবিরে বসবাসকারী হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা ইসরাইলের জন্য যুদ্ধাপরাধ হবে।
হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং তুরস্কের কাছ থেকে আদর্শগতভাবে একটি গ্যারান্টি চাইছে, ইসরাইলের গাজায় আক্রমণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।
হামাসের মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন, তারা চুক্তি চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার দোহা থেকে কায়রো যাবেন। কিন্তু রয়টার্স এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, এটি ইসরাইলকে একটি চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী দেখানোর কৌশল বলে মনে হচ্ছে। তবে অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, এটি ইসরাইলের তৈরি কোনো প্রস্তাব নয়।
এক মিলিয়ন ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা না করার জন্য ইসরাইলের প্রতি ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কবার্তা এসেছে। ইসরাইল এটি করলে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ করবে।
সূত্র : গার্ডিয়ান