কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী : আছেন বাঙালির হৃদয়ে, বিশ্বসত্তার অবয়বে

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন আজ। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বসাহিত্যের এ মহিরুহ। কবিগুরু অনন্য সব সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, চিত্রকলা ও অসংখ্য গানের মধ্য দিয়ে আজও অমর হয়ে আছেন বাঙালির হৃদয়ে, বিশ্বসত্তার অবয়বে।
এ মহান সৃজনশীল সত্তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মা সারদাসুন্দরী দেবী এবং বাবা বিখ্যাত জমিদার ও ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন আট বছর বয়সে। ১৮৯১ সাল থেকে বাবার আদেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও ওড়িশার জমিদারি তদারকি শুরু করেন। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিনি দীর্ঘসময় অতিবাহিত করেন। ১৯০১ সালে সপরিবারে চলে আসেন বীরভূমের বোলপুর শহরের উপকণ্ঠে শান্তিনিকেতনে।
তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্য সংকলন। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি সাহিত্যিককে স্মরণ করবে তার অগণিত ভক্ত।
রবীন্দ্রনাথ এখনো কেন প্রাসঙ্গিক-এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এক প্রবন্ধে লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথ একাধারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি জাতির চিন্তাজগতে আধুনিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বাঙালির মানস গঠনে পালন করেছেন অগ্রদূতের ভূমিকা।

 

#