মানবিক চমক দেখালেন পরীমনি

: বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

শামসুন্নাহার স্মৃতি, যিনি পরীমনি নামে অধিক পরিচিত একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মডেল ও অভিনেত্রী। ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরীমনির বড় পর্দায় অভিষেক হয়।  বিভিন্ন সময় তিনি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। ঢাকা বোটক্লাব কাণ্ড, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে জন্মদিন উদযাপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত প্রকাশসহ  অনেক কিছু আছে তার জীবন ডায়রিতে। এসবের মাঝেও পরীমনির এক মানবিক প্রকাশ পায় তার কর্মে। কোরবানি দিয়ে গরিবের মাঝে বিতরণ, পথশিশুদের নিয়ে জন্মদিন পালন-ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন এক মানবিক চমক দেখালেন আজ ছয়দিনের এক নবজাতক কন্যাশিশুকে দত্তক নিয়ে।

ছয় দিনের এক কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। শিশুটির নাম সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পরীমণি নিজেই।

এ নিয়ে তিনি লিখেছেন- আমার মেয়ে এল ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছ’দিন হল ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে।

আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হল আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনও দিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এল। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো…আর কিছু দিন যাক।

ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এ বার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে। আপাতত ‘রঙ্গিলা কিতাব’-এর কাজ করছি। এটা হইচই-এর জন্য আমার প্রথম কাজ। এখন আরও বেশি করে কাজে মন দেব। এমন কাজ করতে চাই যাতে আমার ছেলে আর মেয়ে যেন তাদের মাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে।

আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান।

এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।

#