জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে। তার ফিটনেস সবার নজর কাড়ছে। নিজেকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নারীর পরিচয়, নারীর কাজের স্বাধীনতা, পোশাকের স্বাধীনতা আর নারীর শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস ধরে রাখার ক্ষেত্রে রুনা খানের রয়েছে এক অনন্য জীবনবোধ। মাঝে মাঝে মনে হয়- সামাজিক প্রথার বৃত্ত ভাঙতে ভাঙতে রুনা খান নিজেকে নান্দনিকভাবে সৃজন করেন। এ ভাঙা-গড়ার মধ্যে এক অসাধারণ রুনা খান আমাদের মানসপটে ধরা দেয়।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খানের ওজন বেড়ে একসময় ১০৫ কেজি হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে নিজেকে ঝরঝরে করে ফেলেছেন এ অভিনেত্রী। ৪০টি বসন্ত পার করার পর একজন মায়ের নিজের ফিটনেস নতুন করে ফিরে পাওয়া যথার্থভাবেই আলোড়িত করেছে সকলকে। তিনি অবশ্য প্রথমেই ভালো থাকার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিলেন মানসিক স্বাস্থ্যকে।
তিনি বললেন, নারীর মানসিক স্বাস্থ্য খুবই অবহেলিত এদেশে। তার মধ্যে এখনও দেশের প্রায় অর্ধেক নারীর বিয়ে হয়ে যায় আঠার পেরনোর আগেই। সেক্ষেত্রে চল্লিশ হওয়ার পরে একজন নারী নিজেকে নতুনভাবে ফিট করে তুলবেন, সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন, নজর কাড়বেন- এই বিষয়টা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। প্রতিটি নারীকে আগে নিজের মনের যত্ন নিতে হবে। এতে ভালো থাকার তাগিদ তৈরি হবে এবং তখন তিনি নিজে শারীরিক ফিটনেসের বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট হবেন। আর আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।
নিজের বক্তব্য ও নিজেকে অকুণ্ঠ প্রকাশ করেন রুনা খান। তিনি বলেন, আগে নিজের মাথাটা পরিষ্কার করতে হবে৷ আগে জানতে হবে আমি নিজে কী চাই, আমার কাছে কোনটা ঠিক মনে হয়। এটুকু জানলেই বাকিটুকু আপনা হতেই হয়ে যাবে। একজন নারী কী করতে চান, কতটুকু করতে চান আর কী করতে চান না, সেটা ঠিক করবেন তিনিই।
দেশি শাড়ি রুনার খুবই প্রিয়, বিশেষ করে জামদানি। কোথাও গেলে দেশি শাড়িতে নিজেকে সাজাতে বেশি ভালোবাসেন তিনি। জগতের কোনো প্রাণের ক্ষতি সাধন না করে যে কারো নিজের বিশ্বাস ও ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু করতে পারার অধিকার আছে।
ফিটনেস নিয়ে তিনি জানান, তিনি চিনি খান না। ব্ল্যাক কফি, শাক-সবজি বেশি খান তিনি। বাদাম খান, গ্রিন টি, লেবুও থাকে তার খাবারের তালিকায়।