জিয়া আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন : ওবায়দুল কাদের

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাকশাল একক কোনো দল নয়, ছিল জাতীয় দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কাছে অফিসিয়ালি আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এখন সেই বাকশালকে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি করছে বিএনপি নেতারা। আজ শনিবার (১৮ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে প্রায়শই ‘বাকশালী শাসন’ মন্তব্য করেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি ফখরুল সাহেবকে বলব- বাকশাল একক কোনও দল নয়, এটা ছিল জাতীয় দল; কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। এখন এটাকে বাকশাল বলে একটা গালিতে পরিণত করার দুরভিসন্ধি অনেকেরই ছিল। ফখরুল সাহেবকে বলব- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান অফিসিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। সেটার কী জবাব দেবেন? এটা আরও দুয়েকবার বলেছিলাম, জবাব পাইনি। অহেতুক ঘাঁটাঘাঁটি করলে আপনাদের চেহারাটাই উন্মোচিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কীভাবে মেরে, হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। বিএনপি যখন যেখানে সভা-সমাবেশ করতে চেয়েছে, করেছে। সরকার তো কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বাংলাদেশে এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন হয়েছে? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ও স্থায়িত্বের কারণে। এই দুই কারণে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তর হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর এবং উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

#