মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিবির কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আজকে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলাসংক্রান্ত কোনও বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি ফিরে পেতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুনুল হকসহ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেন রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া সেই নারী।