বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জেনারেল আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠাণের প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করেছে। আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। সামরিক চুক্তির বিষয়ে আজিজ তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হল। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।