ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার পছন্দের প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রায়হান আহমেদ নামে একজনের পক্ষে ভোট চাওয়া, অনুদান ঘোষণা, নগদ অর্থ প্রদান এবং বিভিন্ন অঙ্গীকার করে যাচ্ছেন। এমনকি তার পক্ষে বিভিন্ন সমাবেশেও সুমন বক্তব্য রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৫ মে) সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগকরেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তাহের।
অভিযোগে বলা হয়, সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে টিআর কাবিখা কাবিটা, টিউবওয়েল, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন এবং একই সভায় তার নিকটাত্মীয় রায়হান আহমেদকে নির্বাচিত করার জন্য ইশারা ইঙ্গিত ও প্ররোচনা দিয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান আহমেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সম্প্রতি সাটিয়াজুরি ইউনিয়নের শীলপাড়াএলাকায় একটি ট্রান্সফরমার লাগিয়েছেন এবং সেখানে সভায় তাকে ভোট দেওয়ারআহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি তার বাসায় বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ডেকে এনে রায়হান আহমেদের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ ও আহ্বান জানাচ্ছেন। একই সাথে তিনি চা-শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখান। এছাড়া রায়হান আহমেদের মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে মোবাইল ও হোয়াটসআপে ভোট চাচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সংসদ সদস্য নালুয়া চা বাগান, হাতিমারা চা বাগান. চান্দপুর চা বাগান, কালিশিরি, জোযাল ভাঙ্গা চা বাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় সভা করে ১০ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা ও উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন এবং নানা আকার ইঙ্গিতে রায়হানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। এছাড়া চুনারুঘাট মধ্যবাজারে সভা করে শায়েস্তাগঞ্জ চুনারুঘাট জগদীশপুর সড়ক ৪ লেনে করার আশ্বাস দিচ্ছেন এবং ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী প্রার্থী সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।