উপকূলের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় রেমাল

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। এর কেন্দ্র আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে বাগেরহাটের মোংলার কাছ দিয়ে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর জেলার খেপুপাড়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও উপকূলীয় ১৬ জেলায় বিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আজ রবিবার (২৬ মে) বেলা ২টার সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি আজ বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ উপকুলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালীকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় রয়েছে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের ১৬ জেলা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের সব বিভাগেই দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

#