ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ রাখার অভিযোগ

: উজিরপুর (বরিশাল)  প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

ঘূর্ণিঝড় রেমেলের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র না খুলে উধাও হয়েছিলেন সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, ১০ মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে নিয়মনীতি না মেনে স্কুল খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা ও ক্লাস নিয়েছিলেন তিনি।  এমন অভিযোগ উঠেছে উজিরপুর পৌর সদরের সরকারি ডব্লিউ বি ইউনিয়ন মডেল ইনিস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ্ আলমের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,  ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে  ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে বাড়ি ঘড় গরুর খামারসহ সকল স্থাপনা তলিয়ে যায়। কোনো উপায় না পেয়ে জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে এসে দেখে দরজায় তালা মারা। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ্ আলম এর কাছে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়ার জন্য একাধিক বার বলা হলেও তিনি খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মানুষ ও গবাদিপশু রাখতে বিদ্যালয় তৈরি করা হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভুক্তভোগী মো. আউয়াল, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ইব্রাহিম, মো. শফিক, রিপন,=সহ একাধিক ব্যক্তি জানান- ঝড়ের দিন আমরা প্রায় ২ শতাধিক লোক আমাদের গবাদিপশু মুল্যবান মালামাল নিয়ে স্কুলে আশ্রয় নিতে আসি। প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলম আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করেছেন। প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে এসে তালা মারা দেখে তাকে অনেক অনুরোধ করেছি তিনি খুলেননি। পরে ৪-৫ ঘণ্টা পানির মধ্যে থাকার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তালা খুলে আমাদের আশ্রয় দেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহ্ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে গরুছাগল হাঁস-মুরগি রাখার স্থান নয় তাই বিদ্যালয়ের কক্ষ খুলিনি।

আশ্রয়কেন্দ্রে তালা মেরে উধাও প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র বন্ধ শুনে ঘটনা স্থলে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে তা খুলে দেই।

#