ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও বাঁধ দ্রুত মেরামতে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত মেরামতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে বাঁধগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলোও মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে কলাপাড়ায় মোজহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনের যে চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তার ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তা করে যাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, সেখান থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ আর বিনাপয়সায় বই দিচ্ছি। মায়ের নামে আমরা বৃত্তির টাকা পাঠাই। যারা একেবারে হতদরিদ্র বিনা পয়সায় খাদ্য সাহায্য দিই। এখন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, যারা কিনতে পারে না তাদের জন্য পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি। অল্প টাকায় চাল, ডাল, তেল কিনে নিতে পারবে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিয়েছি। দেশের মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য সব জায়গায় খুব সহজেই যাওয়া যায় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আজকে ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে এই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পাঁচ-ছয় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়। আগে কিন্তু আসা যেতো না। পাশাপাশি গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। এই দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত ছিল।

সরকার ও আওয়ামী লীগ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে, কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু তা মোকাবেলা করে টিকে থাকার সামর্থ অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি। আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, যেনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষ রেহাই পায়। ভেঙে যাওয়া বাঁধ ইতোমধ্যেই পুনঃনির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, যাতে বন্যার আগেই নির্মাণকাজ শেষ হয়। উপকূলে দুর্যোগ সহনীয়নীয় ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে আপনাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেটুকুও নতুন করে তৈরি তৈরি করে দেবো, আমার ওপর আস্থা রাখুন।

১০০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের বেগ নিয়ে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেমালের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসে ধসে পড়ে উপকূলীয় এলাকার অনেক ঘর। গাছপালা ভেঙেও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দফায় দফায় প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চলসহ শতাধিক গ্রাম। তলিয়ে যায় পৌরসভাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।

#