দাপ্তরিক কাজ বাদ দিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত!

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

আগামী ৯ জুন ২০২৪ রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন-২০২৪। এ নির্বাচনকে ঘিরে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন ক্যাডারে রয়েছে ৩টি প্যানেলের ব্যাপক প্রচারণা। সারাদেশে  প্রায় ১৩১৭৫ জন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা এই নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন। তবে দাপ্তরিক কাজ বাদ দিয়ে নির্বাচনি কাজে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে এ নির্বাচন ঘিরে।

প্যানেল-ক রয়েছে অধ্যাপক ড. রুহুল কাদীর-হুমায়রা আক্তার ও কামাল আহমেদের নেতৃত্বে। তাদের ৩ জনেরই পদায়ন সরকারি কলেজে। প্যানেল-খ রয়েছে অধ্যাপক মামুন-জিয়া আরেফিন-নাসিরের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের মধ্যে মামুন কর্মরত আছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে এবং বাকি দুই হন সরকারি কলেজে কর্মরত। প্যানেল-গ রয়েছে শাহেদ-তানভীর-মোস্তাফিজের নেতৃত্বে। তাদের ৩ জনই রয়েছেন প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। অধ্যাপক শাহেদ মাউশি অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন উইংয়ের পরিচালক, তানভীর একই দপ্তরের সহকারী পরিচালক এবং মোস্তাফিজ রয়েছেন এনসিটিবি’তে।

নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে নিজ পদ/পদবি ব্যবহার করে অধ্যক্ষদের মাধ্যমে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ, দাপ্তরিক কাজ বাদ দিয়ে নির্বাচনি কাজে ব্যস্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে প্যানেল-গ এর বিরুদ্ধে। মাউশি অধিদপ্তরের ডিরেক্টর (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী অধ্যক্ষ ও ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করছেন। কোনো কোনো অধ্যক্ষ এ প্যানেলের পক্ষে নির্বাচন করতে অফিস আদেশও করেছেন। এই অবস্থা শিক্ষা ক্যাডারকে নৈতিকতার কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। এ প্যানেলের উল্লেখযোগ্য কর্মকর্তারা হলেন তানভীর, অসীম, সিদ্দিক, কাওছার, দিদার, রুহুল আমিনসহ আরও অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্যানেল-গ এর কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন প্রচারণার কাজে ব্যস্ত থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত দাপ্তরিক সেবাপ্রার্থীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেবা না পেয়ে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে সেবাপ্রার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা জানান, অধ্যাপক শাহেদ ২০১৬-২০১৭ মেয়াদের নির্বাচিত মহাসচিব ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৮-২০২১ মেয়াদে অনির্বাচিতভাবে পদ দখল করেছিলেন। দীর্ঘদিন পদে থেকেও তিনি ক্যাডারের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছুই করেননি। বরং নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য অ্যাসোসিয়েশনকে ব্যবহার করেছেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে তার প্যানেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার
  • #