পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিতের অবদান অবিস্মরণীয়। রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, টেকসই উন্নয়ন সকল ক্ষেত্রে তিনি মানুষকে সম্পৃক্ত করে গেছেন। তাঁর প্রতিটি বাজেটে উদ্ভাবন থাকত। শিশু বাজেট, পিপিপি, সর্বজনীন পেনশন স্কিম ইত্যাদি তাঁর চিন্তার ফসল। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তিনি ১ম সভাপতি ছিলেন। পরিবেশের গুরুত্ব কত বেশি তিনি আগেই অনুধাবন করেছিলেন।
শুক্রবার (৭জুন) সন্ধ্যায় কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা হলে কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও স্মারকগ্রন্থ-২ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও এ এম এ মুহিতের অবদান অপরিসীম। পাকিস্তানের বৈষম্য তিনি প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিলো অতুলনীয়। ২০০১ সালে তাঁর রিগড ইলেকশন লেখার মাধ্যমে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সসহ নির্বাচনি সংস্কার হয়েছিল। রাজনৈতিক দলের গবেষণা শাখা, থিংকট্যাংক থাকা প্রয়োজন এটা তিনিই অনুধাবন করেছিলেন। ফুটবল, ক্রিকেটসহ খেলাধুলায় যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি দেশকে ভালোবাসতেন। ভবিষ্যত দেখতে পারতেন, সত্য কথাটি বলতে পারতেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এ মানুষটির জীবন নিয়ে গবেষণা করা উচিত।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ এম এ মুহিত ট্রাস্টের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব মো: আব্দুল করিম ও সাবেক অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ এম এ মুহিত ট্রাস্টের সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রমুখ।