গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে দুর্নীতির খবর । এরই মধ্যে সস্ত্রীক দেশ ছেড়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ঈদের আগে আমেরিকায় গেছেন তিনি। সেখানে তিনি বিভিন্ন সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন এবং বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন খাতে। এছাড়া সেখানে তাদের ছোট ছেলে আসিফ মাহাদীন পড়াশোনাও করেন।
সম্প্রতি আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পদের খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঈদুল আজহার ছুটি শেষে তার সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার জহুরুল হক জানান, আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের তথ্য প্রকাশের খবর তার নজরে আসেনি। যদি সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে দুদক ব্যবস্থা নেবে।
সংস্থাটির আরেক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ছুটির পর তারা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেবেন। পুলিশের উচ্চপদে আসীনদের এমন কর্মকাণ্ডে বাহিনীটিতে শুদ্ধি অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।