টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেন্ট লুসিয়ায় জস বাটলারের দলকে ৭ রানে হারায় এইডেন মারক্রামের দল। কুইন্টন ডি ককের বিস্ফোরক প্রোটিয়াদের ১৬৩ রানের বিপরীতে ১৫৬ রান করে ইংলিশরা। টানা দুই জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করে তুলল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের শুরুও হয়েছিল দুর্দান্ত। কুইন্টন ডি ককের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৬ রান তুলেছিল তারা। রেজা হেন্ডরিকসে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মঈন আলী। ছয় রান পর আউট হন ছন্দে থাকা ডি ককও। ৪টি করে চার এবং ছক্কায় এবার ৩৮ বলে ৬৫ রান করে জোফরা আর্চারের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটার।
এরপর হেইনরিক ক্লাসেন (৮ রান) এবং অধিনায়ক এইডেন মারক্রামও (১ রান) দ্রুত ফিরলে প্রোটিয়াদের রানের গতিও যায় কমে। তবে ২৮ বলে ৪টি চার এবং ২ ছক্কায় খেলা মিলারের ৪৩ রানের ইনিংসটায় দেড়শ পেরোয় প্রোটিয়াদের স্কোর! কুড়িতম ওভারে পরপর দুই বলে মিলার এবং মার্কো ইয়ানসেনকে ফেরানো আর্চার সবমিলিয়ে ৪০ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুতে ফিল সল্টকে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ১১ রান করে শিকার হয়েছেন কাগিসো রাবাদার। ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো ( ১৬ রান) এবং অধিনায়ক জস বাটলারও (১৭ রান)। দুজনই শিকার হয়েছেন কেশব মহারাজের। মঈন আলীকে (৯ রান) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের দুর্দশা আরো বাড়িয়েছেন ওটনেইল বার্টম্যান।
৬১ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ইংলিশরা। রাবাদা ১৫ তম ওভারে ১৮ রান দিলেও শেষ পাঁচ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৫৯ রান।
ম্যাচ তখনো কিছুটা হেলে ছিল প্রোটিয়াদের দিকে। কিন্তু বার্টম্যান-নরকিয়াদের পিটিয়ে ওই কঠিন কাজটাও নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন হ্যারি ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন (১৭ বলে ৩৩ রান)। নরকিয়ার করা ১৬ তম ওভারে ১৩ আর বার্টম্যানের করা ১৭তম ওভারে ২১ রান নিলে সমীকরণ নেমে আসে ১৮ বলে ২৫ রানে। পঞ্চম উইকেটে ব্রুকের সঙ্গে ৪২ বলে ৭৮ রান যোগ করে আউট হোন লিভিংস্টোন। ১৮ ওভারে লিভিংস্টোনের উইকেটটি নিয়ে মোটে ৪ রান খরচা করে প্রোটিয়াদের লড়াইয়ে ফেরান রাবাদা।
শেষ ১২ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২১ রান আর শেষ ৬ বলে ১৪ রান। কুড়িতম ওভারের প্রথম বলে হাফসেঞ্চুরিয়ান ব্রুককে ফেরান নরকিয়া। ৭টি চারে ৩৭ বলে ৫৩ রান করে মারক্রামের তালুবন্দী হয়েছেন ব্রুক। বাকী ৫ বল থেকে আর ৬ রান নিতে পেরেছে ইংল্যান্ড।