এবার সম্প্রতি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে। ম্যাথিউ মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখতে হয়রানি বা ভয়ভীতি দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুন) পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে। জবাবে তিনি সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে মুক্ত-স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাজের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখতে হয়রানি বা ভয়ভীতি দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় তিনি আপত্তি জানান।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা বাড়াতে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত রাখতে হয়রানি বা ভয়ভীতি দেখানোর যে কোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এগুলোকে অতিরঞ্জিত, আংশিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএসএ। রিপোর্ট প্রকাশে আরও সতর্ক হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
পুলিশের এই বিবৃতিকে সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীর একাংশের দুর্নীতির সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা।