ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র প্যারাগুয়ের বিপক্ষে করেন জোড়া গোল। সঙ্গে সাভিও ও লুকাস পাকেতার গোলে প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। এ জয়ে গ্রুপ ‘ডি’তে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে থাকল ব্রাজিল। একই দিন অন্য ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে কলম্বিয়া। আগামী বুধবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া।
ম্যাচের শুরু থেকে গতিময় ও দুর্দান্ত খেলতে থাকা ভিনিসিয়ুস দারুণ ফিনিশিংয়ে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। দারুণ নৈপুণ্যে এই গোলে অবদান রাখেন পেনাল্টি মিস করা পাকেতাও। গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে প্যারাগুয়ে। পরপর দুবার আক্রমণেও যায় তারা। কিন্তু সমতা ফেরাতে পারেনি।
উল্টো ৪৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলও আদায় করে নেয় তারা। দারুণ এক আক্রমণ থেকে শুরুতে রদ্রিগোর শট প্রতিহত হলেও ফিরতি শটে ঠিকই বল জালে জড়ান সাভিও। এই গোলের পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা সংঘাতেও জড়ান। তবে গোল ও সংঘাতের রেশ কাটার আগেই যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল আদায় করে নেন ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলের বিদ্যুৎ–গতির আক্রমণে রদ্রিগোকে ঠেকিয়ে দেয় প্যারাগুয়ে ডিফেন্স, কিন্তু ছুটে এসে নেওয়া দারুণ এক শটে ঠিকই গোল আদায় করে নেন ভিনিসিয়ুস।
বিরতির পর ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ওমর আলদারেতের দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান ৩-১ করে প্যারাগুয়ে। এক গোল শোধ করে ব্রাজিলের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে প্যারাগুয়ে। এর মধ্যে আলিসন বাধা না হলে ব্যবধান ৩-২ করতে পারত প্যারাগুয়ে। তবে প্যারাগুয়ে দ্বিতীয় গোল না পেলেও ব্রাজিল ঠিকই চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেয়। ৬৩ মিনিটে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবলের কারণে আবার পেনাল্টি উপহার পায় ব্রাজিল। চার গোল খেয়ে ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ ছিল না প্যারাগুয়ের। উল্টো ৮১ মিনিটে প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার কুবাস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ে।