একটি বাতিঘর, একটি গ্রামীণ পাঠাগার

: আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

রবীন্দ্রনাথ তার লাইব্রেরি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেউ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই পাঠাগারের তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে। মানবাত্মার অমর আলোক কাল অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।’ রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, একটি পাঠাগার আমাদের সামাজিক জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পাঠাগারের মূল সম্পদ হলো বই। সভ্যতার চাকা এগিয়ে নিতে বইয়ের ভূমিকা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বই চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। বইয়ের সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।

মোতাহের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘সত্যিকার বৈদগ্ধ ও চিৎ প্রকর্ষের অধিকারী হতে হলে লাইব্রেরির সঙ্গে অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করা অবশ্যই প্রয়োজন।’ ‘গ্রন্থাগার’ বা প্রকৃত অর্থে ‘পাঠাগার’ হলো বই, পুস্তিকা ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা; যেখানে পাঠকের প্রবেশাধিকার থাকে এবং পাঠক যেখানে পাঠ, গবেষণা কিংবা তথ্যানুসন্ধান করতে পারে। ‘গ্রন্থাগার’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে গ্রন্থ+আগার এবং ‘পাঠাগার’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাঠ+আগার পাওয়া যায়। অর্থাৎ গ্রন্থসজ্জিত পাঠ করার আগার বা স্থান হলো গ্রন্থাগার বা পাঠাগার। গ্রন্থাগারের মূল লক্ষ্য থাকে তথ্যসংশ্লিষ্ট উপাদান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সংগঠন, সমন্বয় এবং পাঠকের জন্য তা উন্মুক্ত করা।

একটি জাতির বিকাশ ও উন্নতির মানদণ্ড হলো পাঠাগার। এই পাঠাগারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে সংহতি, যা দেশ গড়া কিংবা রক্ষার কাজে এক অমূল্য অবদান। চিন্তাশীল মানুষের কাছে গ্রন্থাগারের উপযোগিতা অনেক বেশি। গণতন্ত্রের সাফল্যে গ্রন্থাগারের ভূমিকা গণমাধ্যমের চেয়ে কম নয়। আধুনিক বিশ্বে গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। গ্রন্থাগার সবার জন্য উন্মুক্ত। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নেই এখানে, নেই হানাহানি, কলহ। কাজেই জাতির মর্যাদাবোধের উন্নয়নে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য পাঠাগার হলো একটি সহায়ক শক্তি। আমরা মরণপণ লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি; কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের পাটাতনকে মজবুত করে এমন সব কাজে আমাদের মনোযোগ নেই বললেই চলে। এর ফলে দেখা দেয় বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। পাঠাগার একটি স্বাধীন দেশের পাটাতনকে মজবুত করার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার।

যুগে যুগে সমাজের সুধী-সজ্জন ব্যক্তির দ্বারাই গড়ে উঠেছে পাঠাগার। মনকে সতেজ ও প্রসারিত করে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য যা অবশ্যই অপরিহার্য। সেই তাগিদ থেকেই বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মানসে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার নিজগালুয়া গ্রামে শিক্ষানুরাগী প্রয়াত মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের স্মরণে ‘মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়। পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন প্রয়াত জহির উদ্দিন মিয়ার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনোয়ার হোসেন। পাঠাগারটি গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, ঢাকার নিবন্ধনভুক্ত এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন উন্মুক্ত থাকে। গ্রামের সব বয়সের নারী ও পুরুষ পাঠকের কথা বিবেচনা করে পৃথক পৃথক পাঠ কর্নারের ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে শিশু কর্নার। অতীত ইতিহাস থেকে শুরু করে সমসাময়িক সব বিষয়- মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, সাহিত্য, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, কৃষিনির্ভর, পাঠ্যবই, বিজ্ঞানবিষয়ক আইটি, আইন ও বিধি, সাধারণ জ্ঞান, জ্ঞানকোষসহ রয়েছে তিন সহস্রাধিক বইয়ের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের বহু আগে মিসরে এবং প্রাচীন গ্রিসেও পাঠাগারের অস্তিত্ব ছিল। ভারতে প্রাচীনকালে পণ্ডিতদের ব্যক্তিগত পাঠাগার ছিল। আধুনিককালে বিজ্ঞানের সহায়তায় উন্নত পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত উপমহাদেশে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা এবং গ্রন্থাগার চর্চার ইতিহাস বহু পুরোনো। মোগল আমলে এবং তারও আগে প্রাসাদকেন্দ্রিক ছিল গ্রন্থাগার। ব্রিটিশ শাসনামলে অভিজাত শ্রেণির অনেকের বাড়িতে ছিল পারিবারিক গ্রন্থাগার। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে স্থানে স্থানে গণগ্রন্থাগার স্থাপনে বিভিন্ন মহলের উদ্যোগী ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। ৫০ থেকে ৬০ এমনকি ৭০ দশকেও আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি স্কুল-কলেজে ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য গ্রন্থাগার ছিল।

মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া গ্রামের কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা নিয়ে ১৯২৮ সালে নিজগালুয়া গ্রামে একটি পাঠশালা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে জি কে হাই স্কুল নামে নিজগালুয়া গ্রাম তথা রাজাপুর উপজেলায় শিক্ষার গুণগত মান বিচারে অন্যতম স্কুল হিসেবে দাবি রাখে। শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের অবদানকে স্মরণে রাখার মানসেই পাঠাগারটি গড়ে তোলা হয়। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পাঠাগারটিতে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, নারী, পুরুষ ও শিশুর জন্য পৃথক পৃথক পাঠ কর্নার, ইন্টারনেট সুবিধা সংবলিত কম্পিউটার যেখানে জরুরি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রিন্ট করা, অনলাইনে আবেদন করা কিংবা ই-মেইল যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাঠাগারের পাশাপাশি এখানে ইসলামিক ফাইন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দৈনিক ত্রিশ জনের মতো শিশু শিক্ষার্থী উক্ত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া এখানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে এম এম (মনোয়ার-মমতাজ) যুব কল্যাণ সংঘ নামে সরকারি নিবন্ধকৃত আরেকটি প্রতিষ্ঠান পাঠাগারের সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। সেখানে দুটি সেলাই মেশিন রাখা আছে; যেখানে গ্রামের মা-বোনদের স্বাবলম্বী করার মানসে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সহায়তায় সেলাই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে কৃতকার্য প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ক্রীড়াচর্চা ও ক্রীড়ানুশীলনের বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে এবং তারা মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য সামাজিক অবক্ষয় থেকে দূরে থাকে। তাই সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে এম এম (মনোয়ার-মমতাজ) যুব কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে ‘মাদকের বিরুদ্ধে ফুটবল’ প্রতিপাদ্যে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুটবল বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিভাবান খুদে খেলোয়াড় বাছাইয়ের লক্ষ্যে এম এম (মনোয়ার-মমতাজ) যুব কল্যাণ সংঘ হতে উপজেলাব্যাপী ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যয় ‘সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ তৈরি করা’।

মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে ও আয়োজনে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে- সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে বছরের শুরুতে পাঠাগার কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক ক্যালেন্ডার বিতরণ; শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে পাঠাগার কর্তৃক প্রকাশিত বার্ষিক ক্যালেন্ডার ও ক্লাস রুটিন বিতরণ; মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বই ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ; উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন; পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ; জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসসহ সকল জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ; ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন; ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন; ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন; ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন; মাহে রমজান উপলক্ষে আন্তঃউপজেলা ক্বিরাত ও হামদ/না’ত প্রতিযোগিতার আয়োজন; মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা এবং টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন; মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় প্রদান; গ্রাম পুলিশদের বর্ষায় ছাতা বিতরণ; অটিস্টিক শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক উপকরণ বিতরণ; গ্রামের অসচ্ছল পরিবারে ঈদবস্ত্র ও শীতবস্ত্র বিতরণ; শারদীয় দুর্গোৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শারদ শুভেচ্ছাসামগ্রী বিতরণ; করোনাকালে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ, অসচ্ছল শিক্ষার্থী ও পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান; বাজারে বিনামূল্যে সবজির ভ্রাম্যমাণ দোকান পরিচালনা; উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবাণুনাশক চেম্বার, আইভি স্যালাইন এবং খাবার স্যালাইন সহায়তা প্রদান; এলাকার দরিদ্র, অসহায় ও অসচ্ছল পরিবারকে আর্থিক, চিকিৎসা ও আইনী সহায়তা/সহযোগিতা প্রদান এবং তাদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে জীবন-জীবিকার জন্য/উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার উপযোগী/সহায়ক উপকরণ প্রদান।

পাঠাগারের সাফল্যের মধ্যে-জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, ঝালকাঠি কর্তৃক জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৯, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২০ এবং জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ তিনবার ঝালকাঠি জেলার ‘সেরা বেসরকারি পাঠাগার’ হিসেবে নির্বাচিত; মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের এক হাজার সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারের ন্যায় মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপন; উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সহায়তায় দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক দিয়ে গ্রামের নারীদের স্বাবলম্বী করার মানসে হাতে-কলমে ৩২ (বত্রিশ) জন নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ ২০ (বিশ) জন নারীকে সনদপত্র বিতরণ করা হয়; জেলা প্রশাসন, ঝালকাঠি কর্তৃক আয়োজিত জীবনানন্দ দাশ উৎসব-২০১৯-এ পাঠাগারের সেরা স্টলের স্বীকৃতি লাভ।

কেবল সফলতা অর্জনই নয়, ‘মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার’-এর মূল উদ্দেশ্য গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে মিতালী করে তাদের শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আত্মিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল সাধনে নিরন্তর প্রচেষ্টারত থাকা।

জাতীয় জীবনে পাঠাগারের গুরুত্ব অনেক। সেই নিরিখে বলা যায়, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য প্রয়োজন, তেমনি মানুষের ক্লান্ত ও বুভুক্ষু মনকে প্রফুল্ল করতে পারে একমাত্র বই, আর পাঠাগার হলো সেই বইয়ের আধার। পাঠাগার হলো মানবসভ্যতার শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আর সেই সম্পদের যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে তার প্রকৃত উপকার যাতে প্রতিটি মানুষ ভোগ করতে পারে, সে কারণে দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন; যা জাতির জন্য হবে একেকটি আলোকবর্তিকা।

লেখক : পুলিশ সুপার নৌ পুলিশ, সিলেট অঞ্চল

  • পাঠাগার
  • #