বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কর্মরত কর্মকর্তাদের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের পেনশন আন্দোলন চলার সময় গ্রাউন্ড ফ্লোরে বসা এবং ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় দিনের মতো লাগাতার আন্দোলন শুরুর সময় ক্যাম্পাসে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা তাদের ব্যানার টাঙিয়ে আন্দোলনে বসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এসে ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলেন।
পরে ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা আবার তাদের ব্যানার টাঙালে প্রতিপক্ষের লোকেরা এসে হামলা চালান। এ সময় উভয়পক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়, চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তর ৪ জন জখম হন। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং দুটি গ্রুপকে দু’দিকে সরিয়ে দেন।
উভয় পক্ষ নিজেদেরকে সঠিক সংগঠন এবং অন্য পক্ষ আগে হামলা করেছে বলে দাবি করেছে। তাদের মতে, প্রতিপক্ষ চলমান আন্দোলনে বিঘ্ন ঘটাতে এমন হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, পরিকল্পিতভাবে ওরা এ কাজ করেছে। ববি ক্যাম্পাসে অবস্থান করার জন্য তাদের কোনো অনুমোদনও নেই।
অপরদিকে ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, চলমান কর্মসূচি চলাকালে বিনা-উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশনের লোকজন। তারা এ হামলার নিন্দা জানান ও দাবি আদায়ের সংগ্রাম চলবে বলেও জানান।