প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখনকার কূটনীতি হবে বাণিজ্যিক। অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা হয়েছে। কোন দেশে কোন পণ্য রফতানি করা যায়, সেগুলোর বাজার খুঁজে বের করতে হবে ব্যবসায়ীদেরই। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পণ্য রফতানি বাড়ারত হবে। রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশে রফতানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেও বাজারজাত করতে হবে ব্যবসায়ীদের।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কতটা বাড়ল, সেটা খেয়াল রাখতে হবে তাদের। শুধু বিদেশে রফতানি নয়, পণ্য দেশের বাজারেরও বাজারজাত করতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, ৩৩তম অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্যই শক্তিশালী অর্থনীতি গড়া সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য উৎপাদন করতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের মাটি, সোনার মাটি। এ মাটি কাজে লাগিয়ে নিজেদের জন্য উৎপাদন করে এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্য পণ্য, গার্মেন্ট, ডিজিটাল ডিভাইসের মতো নতুন নতুন চাহিদা সম্পন্ন পণ্য রফতানির উদ্যোগ নিতে হবে।
আজ পণ্য রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করা হয়। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি।