পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিদেশি কূটনীতিকদের অনেকে বলেছেন, দিস ইজ শেইম। অনেকেই আমার কাছে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, তবে এটা তোমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা স্বচক্ষে দেখার পর স্তম্ভিত হয়ে গেছেন, আমি নিজেও স্তম্ভিত হয়ে গেছি। প্রতিটি জায়গায় এরকম ধ্বংসযজ্ঞ, এটা কল্পনার বাহিরে ছিল।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিদেশি কূটনীতিকদের কিছু স্থাপনা দেখানোর পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কোটা সংস্থার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার কিছু স্থাপনায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার মধ্যে থেকে মেট্রোরেলসহ কয়েকটি স্থাপনা বিদেশি কূটনীতিকদের সরেজমিনে দেখিয়েছে সরকার। মোট ৪৯টি মিশনের প্রতিনিধি ছিলেন। ২৩ জন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। আজকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আমাদের সঙ্গে ছিলেন। কূটনীতিকদের মেট্রোরেলের ধ্বংসযজ্ঞ, সড়ক ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিভি দেখিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরও কিছু দেখানোর। তাদের আমরা সব জায়গায় নিতে পারিনি। অর্ধদিনের নোটিশে এই কঠিন সময়ে এত রাষ্ট্রদূত যাওয়া সহজ কাজ ছিল না।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে কত লোক মারা গেছে, তার তথ্য কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, সেটি সবাই জানতে চায়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে জাতিসংঘের ভেইকল ব্যবহার নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের কোনো ভেইকল ব্যবহার করা হচ্ছে না। ওটা জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি। এখন লোগোটা মুছে দেওয়া হয়েছে।