নিষিদ্ধ হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করবে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের জঙ্গি সংগঠন হিসেবে মোকাবিলা করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নিষিদ্ধ হতে যাওয়া জামায়াত-শিবিরের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা তো জঙ্গিবাদী হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। সেখানেও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদের মোকাবিলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সবাইকে মিলে করতে হবে। বাংলার মাটিতে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না। সেভাবেই আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই এবং তাদের সহযোগিতা চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি বারবার আঘাত আসবে, আমি পরোয়া করি না। আল্লাহ জীবন দিয়েছে, একদিন নিয়েও যাবে। কিন্তু যেখানে মানুষের জন্য কল্যাণের কাজ, সে কল্যাণের কাজ আমরা করেই যাবো।
তিনি বলেন, ১ আগস্ট রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যম আমরা শোকের মাস শুরু করেছি। সব সংগঠনের নেতাদের এই শোকের মাসে শুধু শোক পালন নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির পিতা তো এ জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। কাফনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে যাননি। শুধু দিয়েই গেছেন। তার সেই আদর্শ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মুল কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহতদের ও ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি