যেকোনো আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি দেখেই বোঝা যায়- এ আন্দোলনের গণমুখী, নাকি এ দেশের অভ্যন্তরে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়া। আন্দোলনে যদি দেশজ শেকড়ের প্রতি অগাধ বিশ্বাস-ভালোবাসা না থাকে, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধনিতার অহর্নিশ চেতনা যদি উপেক্ষিত থাকে- সে আন্দোলনকে আর গণ-আন্দোলন বলা যায় না।
সাম্প্রতিক কোটাব্যবস্থা বাতিলের আন্দোলনে ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যবহার উদ্বেগজনক ছিল। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবজ্ঞা করা হয়। এই ধরনের স্লোগান আন্দোলনের আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। জাতীয় ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলন বায়ান্নতে এদেশে হয়েছে, ঊনসত্তরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্ররা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। নব্বইয়ে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেখা গেছে সহিংসতা, ধ্বংস, মানুষ হত্যা, আগুন দিয়ে পোড়ানো। এ আন্দোলনে চরিত্র দেখলে মনে হয়- পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, আলবদর, আল সামস্, রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীরা আমাদেও দেশে যে তাণ্ডবলীলা ও ধ্বংসযঞ্জ চালিয়েছে তার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।
যে প্রজন্মের ওপর আগামীর বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে, তাদের ভূমিকা দেখে আমি বিস্মিত ও হতবম্ভ। এ আন্দোলন যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়- তা তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও গুজব থেকে সহসাই অনুমান করা যায়। কী করে এ আন্দোলনকারীরা দেশের আইকনিক স্থাপনা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভারসহ সরকারি স্থাপনা ধ্বংসের তাণ্ডবলীলায় মেতে উঠেছে। তাই এ আন্দোলন কোনোভাবেই কোমলমতী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হতে পারে না।
বাঙালির গণ-আন্দোলন কিংবা ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে নজর দিলে আমরা দেখতে পাই- এসব আন্দোলন দেশজ সংস্কৃতি, ভাষা, গণমানুষের দাবি নিয়ে আবর্তিত হয়। যেমন আমাদের ভাষা আন্দোলন- স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরালো ভূমিকা পালন করে।
ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার জন্ম দেয় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। তাই ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির গণচেতনার সর্বপ্রথম বহিঃপ্রকাশ এবং স্বাধিকার আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে সত্তরের নির্বাচনে বিজয় লাভ সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
নব্বইয়ের ছাত্র-আন্দোলন দেশে গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলন এদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পদাঘাত করে রাষ্ট্রকাঠামোর চেতনাগত শেকড়ে আঘাত করেছে। ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘এই বাংলার মাটি, রাজাকারের ঘাঁটি’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি অনুসন্ধান জরুরি। এ আন্দোলনে জড়িত যারা তার এক শতাংশও সরকারি চাকরিতে সুযোগ পাবে কিনা সন্দেহ আছে। কিন্তু আন্দোলনের ক্ষীপ্রতা, উগ্রতা, ধারাবাহিকতা, দীর্ঘসূত্রতা বিশ্লেষণ জরুরি।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের যারা নেতৃত্বে ছিল, তারা জামায়াত-শিবির-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারা স্বাধীন রাষ্ট্রকাঠামোর কোনো আইন-নিয়ম-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে বার বার দাবি পরিবর্তন করে জনদুর্বোগ সৃষ্টি করেছে। তারা রাষ্ট্রের করও আহ্বানে সাড়া দেননি। প্রধান বিচারপতি তাদের বক্তব্য শোনার জন্য আদালতে যেতে তাদেও বক্তব্য পেশ করতে বলেছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরারর তারা স্মারকলিপি পেশ করেছেন। কিন্তু ন্যূনতম ধৈর্য তারা ধরেননি। সরকার এবং রাষ্ট্রের সব মহলের আহ্বানকে তারা উপেক্ষা করে তারা দিন দিন সহিংস হয়ে উঠেন। কারণ এ আন্দোলনের মূল কাজ ছিল দেশে সারি সারি লাশ ফেলে নবগঠিত শেখ হাসিনার সরকারের উচ্ছেদ নিশ্চিত করা।
এ আন্দোলনে কোনো একটি অপশক্তি লাশ ফেলতে চেয়েছে, তারা সেটি করতে সক্ষম হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি দেখে মনেই হচ্ছিল এর নেতৃত্ব তথাকথিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে জামায়াত-শিরিরের অনুগতরাও রয়েছে। কাজেই এরা এ আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা, সরকারের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি করা, সর্বশেষ পরিস্থিতি শোচনীয় করে লাশ ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করা।
এই আন্দোলন এতটাই সংগঠিত যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ সব জায়গায় আন্দোলন হয়েছে। কাজেই কোনো অরগানাইজড্ নেতৃত্বের অধীনে ছিল। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বাইরের বাহ্যিক বিষয়টি দেখেছে; ভেতরের দুরভিসন্ধি তারা অনুধাবন করতে পারেনি।
এ আন্দোলনের পৈশাচিকতা ও বর্বরতা দেখলে মনে হচ্ছে সব ক্ষোভ, আক্রোশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযদ্ধো, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি। এছাড়া এ আন্দোলনে যুক্ত সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের উপর আঘাত হেনেছে। যেভাবে এ অপশিক্তরা আঘাত হেনেছে, তা একাত্তরের পাকহানাদার ও পঁচাত্তরের আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৫৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হোসেন,ঢাকা মহানগরও দক্ষিণের৬১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমন, গাজীপুর মহানগর ১৮নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগ নেতা নুরে আলম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ব্যক্তিগত সহকারীজুয়েল মোল্লা, আওয়ামী লীগ কর্মী মো. রোমান, ঢাকা মহানগর (উত্তর)১৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগেরযুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকবাকি মোল্লা, সৈয়দ জহিরুল ইসলাম টিপু আরও অনেকে নিহত হয়েছেন। সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে শতাধিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বহিরাগত সন্ত্রাসী জামায়াত-শিবির-ছাত্রদল দিয়ে রামপুরা টিভি ভবন, বনানীর সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা শোধনাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিআরসির ডেটা সেন্টার, গর্বের মেট্রোরেল মিরপুর স্টেশন, এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজা, হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা, ঢাকার সব পুলিশ বক্স, ফুট ওভারব্রিজ, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কায়দায় পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়েও তাদের ধ্বংসলীলা নিবৃত্ত করতে পারেনি।
সন্ত্রাসীরা দেশের মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, জীবন রক্ষাকারী ফায়ার সার্ভিসের মূল্যবান গাড়ি, সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী ট্রাক ধ্বংস করে স্বাভাবিক নাগরিক পরিষেবা ব্যাহত করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়েও তাদের এসব দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করতে পারেনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এসব দিক বিশ্লেষণ করলে অনুধাবন করা যায় আন্দোলনের মূল এজেন্ডা কী ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশকে হেনরি কিসিঞ্জারের তলাবিহীন ঝুড়ি ও শ্রীলঙ্কার মতো খাঁদের কিণারে নিয়ে যাওয়া, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর আঘাত হেনে দেশে এক অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করা।
এ আন্দোলন চলাকালে জামায়াত-শিবির-বিএনপির গুজব ছড়িয়ে সহিংসতার মাত্রা ও ধ্বংসলীলাকে বৃদ্ধি করেছে। এ সময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা হচ্ছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে গণহত্যা হচ্ছে, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে গণহত্যা হচ্ছে- এরকম উস্কানি দিয়ে জামায়াত-শিবির-বিএনপির সহিংসতাকে আরো তীব্রতর করেছে।
জামায়াত-শিবিরের গুজব ছড়ানো কৌশল হল- নামি-দামি ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে পেইজ খুলে এর মাধ্যমে হাজার হাজার ফলোয়ার বানিয়ে গুজব ছড়ায়। পরকীয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ব্যাচ, নীতিকথা, ধর্ম, অশ্লীল ছবি ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রুপ কিংবা পেইজ খুলে। এরপর এসব গ্রুপে কিংবা পেইজে হুজুগে আমজনতা হুমড়ি খেয়ে লাইক-ফলো দেয়। এরপর এরা এসব পেইজে গুজব ছড়ানো শুরু করে। অশ্লীল, হট ও ন্যুড ছবি দিয়ে এরা পেইজ খুলে এসব পেইজ দিয়েও গুজব ছড়ায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এসব আইডি দিয়ে গুজব ছড়ায়। বিধবা কিংবা ডিভোর্সি নারীদের নিজেদের কবজায় নিয়ে তাদের মাধ্যমে গুজর ছড়ায়।
জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করার জন্য, বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য যখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করছেন, তখন এ ধরনের সহিংসতার মাধ্যমে দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এ প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। জামায়াত-শিবির-বিএনপি দেশবিরোধী অপশক্তি এখন প্রবাসী যোদ্ধারা দেশে যাতে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স না পাঠায়, তার বিরুদ্ধে নামছে, নানা রকম গুজব ছড়াচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগ যাতে না আসে, সে ব্যাপারে বহির্বিশে^ নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আদালতে গড়ানো বিষয় নিয়ে এভাবে আন্দোলন করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী তো ওখানেই বাঁধা ছিলেন। তাছাড়া এ আন্দোলনের উগ্রতা এখনো দেখছি। কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে এতগুলো প্রাণ ঝরালো। কোথায় তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে, দিনের পর দিন রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা, সর্বশেষ মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি। তারপরও এত উগ্রতা, এত সহিংসতা কেন তারা করেছে? কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা। এই আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন জঙ্গি, সন্ত্রাসী জামায়াত-শিবির-বিএনপির।
দেশে জামায়াত-শিবির-বিএনপি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে সবকিছু পুড়িয়ে ফেলছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যানবাহন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করেছে, থানা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, অপরাধী ও জঙ্গিদের কারাগার থেকে বের করে নিচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট করছে। এমন পরিস্থতি থেকে সাধারণ মানুষ ও দেশকে রক্ষার জন্য উত্তরণের উপায় কী?
হয় আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। না হয় জামায়াত-শিবির-বিএনপির সন্ত্রাসীরা যে যেভাবে পারছে পুড়িয়ে দেশ ছারখার করে দিচ্ছে- এটা পরিস্থিতি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। সুশীলরা আবেগে কি এসব তাণ্ডবলীলা দেখে মজা নিচ্ছেন? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নিত, তাহলে এদেশে এখনও প্রতিক্রিয়াশীলদের তাণ্ডব চলত, আর সুশীলরা ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকত। শেষ পরিণতি হত লক্ষ লক্ষ লাশ, হয় সেটা সাধারণ মানুষ, না হয় পুলিশ। রাস্তায় পড়ে থাকত এসব লাশ, পচে গন্ধ আসত। আর তখন সুশীলরা এসব পচা লাশ থেকে সুগন্ধি কি পেত? কোটা আন্দোলনের মধ্যে যে লাশ ফেলার এজেন্ডা রয়েছে- সে ব্যাপারে কেন সতর্ক করেননি সুশীলরা?
এ আন্দোলন কেনোভাবেই কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে, উন্নয়নকে ধ্বংস করে, অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে জামায়াত-শিবির-বিএনপির নীলনকশা বাস্তবায়নের এজেন্ডা ছিল এ আন্দোলনে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শিক আলোকবর্তিকা সমূলে ধ্বংসের এক নতুন পাঁয়তারা ও নীলনকশা ছিল কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
লেখক : কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক