প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের ক্ষমতা বুঝে নিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। বিকেল ৪টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সেনা প্রধান এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেন।
সেনাপ্রধান বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা। এই প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন সেনাপ্রধান। এরপরই ঘোষণা হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন। এসময় সেনাপ্রধান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সেনাপ্রধানের ভাষণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব কে নেবেন এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে বিভিন্ন সূত্রে ১৮ জনের নাম জানা যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ যাদের নাম আলোচনায় আছে তারা হলেন; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এই সরকারে আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ইকরামুল হক, সাবেক পরিবেশ সচিব ড. মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্টের সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা, বিজিবির সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মঈনুল ইসলাম, নিউএইজ এর সম্পাদক নুরুল কবির, সাবেক সচিব ফজলুল কবির খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোরশেদ খান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইনজীবী শাহদীন মালিক, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার শাহা এবং চাকমা সার্কেলের প্রধান পরামর্শক কুইন ইয়ান ইয়ান।