প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট

:
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে বোনকে দেশ ছাড়ার পর শেখ হাসিনার কার্যালয়ে ঢুকেছে হাজারো মানুষ। সেখানে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিসপত্রও নিয়ে যেতে দেখা গেছে মানুষকে। মঙ্গলবার দুপুরের পর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে হাজারো মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভ্যর্থনা কক্ষ, হল রুম, সম্মেলনকক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন। কিছু কক্ষের কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় লোকজন শেখ হাসিনা বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। হলরুমে সাউন্ড সিস্টেমে গান বাজিয়ে ডিজে পার্টি করেছেন, করা হয়েছে আনন্দ উল্লাস।

কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, সোফা, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মনিটর, বিভিন্ন ধরনের বাতি, ফুলদানিসহ ভেতরে যা কিছু ছিল সব নিয়ে গেছে লোকজন।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের থাকা বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়িগুলো অক্ষত আছে। সেগুলোতে বসে ছবি তুলেছেন বিক্ষুব্ধরা।

এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে বাইরে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের ওপর উঠে সেখানে জাতীয় পতাকা উড়াচ্ছিলেন অনেকে। এছাড়া কার্যালয়ের মূল ভবনের ছাদেও উঠে পড়েন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাগান থেকে বিভিন্ন ফুল গাছ, টবও তুলে নিয়ে গেছেন আন্দোলনকারীরা।

সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তুমুল গণআন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ৩৬ দিন আগে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হওয়ার পর দেশজুড়ে সংঘাত আর তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যুর মধ্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হলো। ভারতের একটি কূটনৈতিক সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইঙ্গিত দিয়েছে, শেখ হাসিনার প্রথম গন্তব্য ছিল আগরতলা।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছেন, বিকালে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে হিন্দন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সেখান থেকে তারা লন্ডন যেতে পারে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

এদিকে সর্বাত্মক অসহযোগের মধ্যে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া জনতা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনও দখল করে নেয়। সেখানে পতাকা হাতে তাদের উন্মুত্ত উল্লাসের স্বাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, প্রতিটি হত্যা, অবিচারের বিচার হবে। সবার চেষ্টায় দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

 

  • প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
  • #