শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদিন আগে ঢাকার আদালতপাড়ায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুরের জেরে এবার আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঢাকা আইনজীবী সমিতি (ঢাকা বার) ভবনের সামনে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে আগুন জ্বালিয়ে দিতে দেখা যায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের।
চেম্বার ভাঙচুরের পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আওয়ামীপন্থি আইনজীবী পরিষদের দুয়েকজন নেতাকর্মীকে দেখা গেলেও বেশিরভাগকে আদালতপাড়ায় দেখা যায়নি।
ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাত শাওন, বর্তমান সহ-সভাপতি আবু তৈয়ব, দুদকের আইনজীবী মোশারররফ হোসেন কাজল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কনিষ্ঠ আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম বাহারসহ কয়েকজনের চেম্বারে মঙ্গলবার সকালে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনার জন্য তারা বিএনপিপন্থি জুনিয়র আইনজীবীদের দায়ী করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঢাকা বারের কার্যকরী পরিষদের গত নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি নিজ পেশাজীবীদের মধ্যে এই প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্যোগকে সমর্থন করি না। ভাঙচুর করা ঠিক হয়নি, অন্যায় হয়েছে।
বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ওরাই শুরু করেছিল। গত রোববার আমার চেম্বার, আব্দুল খালেক মিলন, মাসুদসহ কয়েকজনের চেম্বার লাঠি, লোহার রড নিয়ে আওয়ামীপন্থি উচ্ছৃঙ্খল আইনজীবীরা ভেঙে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার ভাঙচুরের পরে দুদকের অন্যতম আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বেনু, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মহিবুর রহমান আপেলকে আদালত প্রাঙ্গণ দিয়ে চেম্বারে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবুকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। অফিসের লোকজন বলেছেন, তিনি আদালতে আসেননি। আসবেন কিনা তারা জানেন না।
ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ প্রসিকিউটর আবু আবদুল্লাহ ভূঞাকে দেখা গেলেও সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আর কোনো পাবলিক প্রসিকিউটরকে আদালতপাড়ায় দেখা যায়নি।