এই মুহূর্তে দেশে ১১টি জেলা বন্যাকবলিত। এই জেলাগুলোয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। এ মুহূর্তে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার পানিবন্দি। আর এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার পর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বাঁধ ভাঙে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বাঁধ ভাঙে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বন্যাক্রান্ত জেলাগুলো হলো—ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ।
বন্যায় এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় চারজন, কক্সবাজারে তিন, চট্টগ্রামে দুই, ফেনীতে এক, নোয়াখালীতে এক, লক্ষ্মীপুরে এক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের তথ্য উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান বলেন, বন্যাপরিস্থিতি ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে।
কামরুল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ নগদ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
কামরুল হাসান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।