সচিবালয়ে আনসার-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪০

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়ার পর বিভিন্ন পথ দিয়ে পালিয়েছেন আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা। এ সময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অন্তত ৩০ জন আহত শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয় এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় আনসার সদস্যরা ধাওয়া দেন। পরে শিক্ষার্থীরা লাঠি নিয়ে আনসারদের প্রেসক্লাবের দিক থেকে তাড়া দেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেন আনসার সদস্যরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় আনসার সদস্যরা পিছু হটে যান। অভিযোগ উঠেছে, সংঘর্ষের সময় আনসার সদস্যরা গুলিও চালিয়েছেন।

সংঘর্ষের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাতক আব্দুল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, আনসারদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়া হলেও বাহিনীর একটি দল সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের আটকে রেখেছেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করছেন।
ফেসবুক লাইভে তিনি শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা হন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা পৌঁছালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

প্রায় আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সচিবালয় এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতাও লাঠি হাতে নেমে পড়েন। ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান আনসার সদস্যরা। পালানোর সময় লাঠি দিয়ে আনসার সদস্যদের পিটিয়েছেন ছাত্র-জনতা। পরে সেনাবাহিনী সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নিলে পরিবেশ শান্ত হয়। প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর সচিবালয়ে অবরুদ্ধ উপদেষ্টা এবং কর্মীরা মুক্ত হন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী ও আনসার আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের বেশির ভাগেরই মাথায় আঘাত। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এরআগে, বিকেলে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন আনসার সদস্যরা। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আনসারদের সব দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বাহিনীর সদস্যদের ‘রেস্ট প্রথা’ বাতিলেরও ঘোষণা দেন। সে সময় আনসারদের আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসির কর্মসূচি স্থগিত করেন।

কিন্তু আন্দোলনকারীদের একটি দল আজকের (রোববার) মধ্যে তাদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়ার দাবিতে সচিবালয় ঘিরে রেখে উপদেষ্টা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে। রাতে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেয়াল টপকে সচিবালয় ছাড়তেও দেখা যায়।

  • আনসার-শিক্ষার্থী
  • #