বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও অপসারিত বানারীপাড়া পৌরমেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলসহ ৯৬ জন দলীয় নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৬ জনকে সুনির্দিষ্ট ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বানারীপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস মৃধা বাদী হয়ে নালিশি মামলা করেন।
আদালতের বিচারক শারমিন সুলতানা নালিশী অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বানারীপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে এদিন রাতেই থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামীরা হলেন বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার, সহ-সভাপতি ও চাখারের ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডু ও অধ্যাপক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অপসারিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাইয়ান, সদস্য ও সৈয়দকাঠি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ.মন্নান মৃধা, সদস্য শামসুল আলম মল্লিক ও সেলিম সরদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক বেপারী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আলী হাওলাদার, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন খান, আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ী শাহ আলম বেপারী,ত্রিনাথ পোদ্দার খায়রুল ইসলাম ও মো. ছিরণ, যুবলীগ নেতা মনির মল্লিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন খান, চাখার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২ মে বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান,পাইপসহ দুটি বালুর ড্রেজার ও বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ, নারীর শ্লীলতাহানি এবং লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোমিন উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।