ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গুলিতে কাজী মিরাজুল ইসলাম নামে এক মাদরাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশিদুল হক, হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহত কাজী মিরাজুল ইসলামের বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। শুনানি শেষে হাটহাজারী থানার ওসিকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- হাটহাজারী সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, হাটহাজারী থানার সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক রাজীব শর্মা, কেশব চক্রবর্তী, তৌহিদুল করিম (বর্তমানে নগরের চকবাজার থানার পরিদর্শক তদন্ত) ও আমির হোসেন, সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসান, কবির হোসেন ও জসীমউদ্দীন, পিবিআই এসআই শাহাদাত হোসেন।
আরো রয়েছেন- ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস গণি চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মনজুরুল আলম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির হায়দার, হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মইনুদ্দিন রুহি ও হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী। আনাস মাদানী হেফাজতের একাংশের নেতা। তৎকালীন আওয়ামী সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত তিনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে হাটহাজারীতে গুলিতে মাদরাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে হাটহাজারী থানার ওসিকে মামলাটি রেকর্ড করার নির্দেশ দেন আদালত।