সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভুয়া সমন্বয়ক ইমরান হোসেন শিশির (২৯)। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে গণধোলাইয়ের পর তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।

ইমরান সাঁথিয়া উপজেলা শাখার স্বঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ও ছাত্রদলের নেতা হিসাবে নিজেকে দাবি করে আসছেন। ওদিকে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছেলের গণধোলাই ও আটকের সংবাদ জানার পর অসুস্থ বাবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন রোববার রাতে মারা যান।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) চাঁদাবাজির ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাঁথিয়া উপজেলা শাখার স্বঘোষিত ও ছাত্রদলের নেতা শিশির ৩১ আগস্ট বিকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয় কোলা বিক্রয় অভিযোগ নিয়ে অপর বন্ধু কোনাবাড়িয়া গ্রামের জুয়েলের ছেলে সানীকে (৩০) নিয়ে ধোপাদহ বাজারে মনিরুজ্জামানের দোকানে যান। মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয় কোলা বিক্রয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে পাঠিয়েছে বলে জানান। এ সময় দোকানদারের ভাই রোকনুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে তারা মোটরসাইকেলযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে আসেন। শিশির ও তার বন্ধুরা উপজেলা চত্বরে এসে ইউএনওর কাছে না গিয়ে কৌশলে পরিষদের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। এসময় কোনাবাড়ীয়া গ্রামের মধুর ছেলে শাকিল (৩২) ও মিলটনের ছেলে তালহা (২৫) তাদের সঙ্গে ছিল। দোকানদার মনিরুজ্জামান প্রাণ বাঁচানোর ভয়ে ৬০ হাজার টাকা যোগার করে তাদের হাতে দিয়ে চলে যান।
বিষয়টি জানাজানি হলে দোকানদার মনিরুজ্জামান থানায় ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়েরের সংবাদে পুনরায় মনিরুজ্জামানকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য শিশির ও ছানি ধোপাদাহ বাজারে যান। এসময় এলাকাবাসী টের পেয়ে শিশিরকে গণধোলাই দেন। সানি কৌশলে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উদ্ধার করে বৈষম্যবিরোধী ভুয়া নেতাকে থানা হেফাজতে নেন। পুলিশ চাঁদা নেওয়া ৬০ হাজার টাকা শিশিরের কাছ থেকে উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, চাঁদার টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিশিরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার নামে চাঁদাবাজি করে ইমরান অবশ্যই জঘন্য কাজ করেছেন। আমার নামে যদি কেউ চাঁদা দাবি করে তাহলে কেউ চাঁদা দেবেন না এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

#