সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় আরও তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
রাজধানীর রুপনগরে শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিক গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে ভিকটিমের চাচাতো ভাই মো. সম্রাট এ মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে কোনো জিডি বা অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে কিনা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুপনগর থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবিনা আক্তার তুহিন, শাহেদা তারেক দীপ্তি, কামাল আহমেদ মজুমদার, গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই বিকেলে মিরপুর-১০ নম্বর সংলগ্ন প্রশিকা মোড়ে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে গুলিতে শামীম হাওলাদার নিহত হন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
হাফেজ মাওলানা সাদিকুল হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে হাবিবুল্লাহ বাহারের প্রতিবেশী চাচা আশরাফ সিদ্দিকী মামলাটি করেন। আদালত এ মামলার আবেদনটি রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রাজ্জাক, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই উত্তরা ৯ নং সেক্টরে আধুনিক মেডিক্যালে পাশে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ছোঁড়ে। এতে হাফেজ মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রাজধানীর রামপুরায় আমীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালতে নিহতের স্ত্রী আননী মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান (পলাশ), এবিএম সিদ্দিক।
গত ১৯ জুলাই বিটিভি ভবনের সামনে উপরোক্ত আসামিদের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা আমির হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।