সংসদ ভবন এলাকা থেকে সেনাসদস্য কর্তৃক ল্যাপটপ জমাকরণে ভুল বোঝাবুঝি বিষয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে সচেতন নাগরিকগণ হারানো রাষ্ট্রীয় সম্পদের কিছু অংশ ওইদিনই উদ্ধারপূর্বক সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশপ্রেমী ও পেশাদার সেনাবাহিনীসংক্রান্ত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনগণের নিকট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েজ সংযোজিত একটি ভিডিওতে সংসদ ভবন এলাকায় ল্যাপটপ হাতে হাসিমুখে হেঁটে যাওয়া একজন সেনাসদস্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েজে দুটি ল্যাপটপ সেনাসদস্য কর্তৃক অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দাবি করে উক্ত সেনাসদস্য এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হয়। মূলত, গত ৫ আগস্ট সেনাসদস্যদের একটি ল্যাপটপ ও একটি স্ক্যানার কতিপয় সচেতন নাগরিক কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়। পরে ওই সেনাসদস্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তা জমা করেন। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে এ ল্যাপটপ ও স্ক্যানার জাতীয় সংসদ ভবনের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসের নিকট হস্তান্তর করা হয়