শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জিরাবো-বিশমাইল রোডে পুকুর পাড় এলাকাস্থ লুসাকা গার্মেন্টস লিমিটেড (কম- ২৬০০) ও টেক্স টাউন গার্মেন্টস লিমিটেডের (কম-৪৫০০) শ্রমিকরা টিফিন বিল, নাইট বিল, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছুটি ঘোষণা করে। এ সময় জিরাবো-বিশমাইল রোডের পার্শ্বস্থ যে কারখানাগুলোতে গোলযোগের শঙ্কায় ছুটি ঘোষণা করে।
জানা যায়, গত কয়েক দিনে টানা শ্রমিক অসন্তোষে শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। পরে শনিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। পরে দুপুরে আশুলিয়ার নরসিংহপুরে হা-মীম ও শারমিন পোশাক কারখানায় দুপুরে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে অন্যান্য পোশাক কারখানাগুলো ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষার জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
ছুটি ঘোষণাকৃত কারখানাগুলোর নাম হলো-তাহারাত নীট কম্পোজিট লিমিটেড, বেক নীট লিমিটেড, তাম্মাম ডিজাইন লিমিটেড, এ্যাকটিভ কম্পোজিট লিমিটেড, এমাটেক্স লিমিটেড, সিনহা সোয়েটার লিমিটেড, অরুনিমা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, ডিএমসি এ্যাপারেলস লিমিটেড, রাতুল নীট ওয়্যার লিমিটেড, জে এল সোয়েটার লিমিটেড, মাসকট ফ্যাশন লিমিটেড, মাসকট নীট ওয়্যার লিমিটেড, মাসকট গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিয়ান্স নীট ওয়্যার লিমিটেড, আইরিশ সোয়েটার লিমিটেড, সাউদার্ন গার্মেন্টস লিমিটেড, এলায়েন্স নীট কম্পোজিট লিমিটেড, এস এস ডি এ্যাপারেলস লিমিটেড, আফিয়া নীট ওয়্যার লিমিটেড, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডা লিমিটেড, হেসং কুরিয়া লিমিটেড, টেক্সটাউন গ্রুপ, এভারব্রাইট সোয়েটার লিমিটেড, ইনজেনিটেক্স এ্যাকটিভ লিমিটেড, ফিউচার ক্লোথিং লিমিটেড, ক্রাফট এ্যাপারেলস লিমিটেড, মাশিয়াত এ্যাপারেলস লিমিটেড, এম.এস সোয়েটার লিমিটেড, সাংহাভি সুজ এন্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড, ইউনি ওয়াল্ড ফুটওয়্যার লিমিটেড, পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেড, লেদারক্স ফুট ওয়্যার লিমিটেড, ইউনিয়ন এ্যাকসোসরিজ লিমিটেড, টোয়াইস পলি এন্ড থ্রেড লিমিটেড, বেল ওভেন বেঙ্গল লিমিটেড ও ম্যাক প্রিন্টিং এন্ড পলি।
বাংলাদেশ গামের্ন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, সকালে বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে দুপুরে কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর তাদের কারখানাগুলো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত কয়েকটি পোশাক কারখানায় ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তারা আসেনি। এতে শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে কথা না বলতে পারার কারণেই শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। তবে কোথাও সড়কে কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি শ্রমিকেরা।