বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় নিহতের ঘটনায় ব্যবসায়ী রংধনু গ্রুপের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রফিকসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে নিহত কিশোরের পূর্বপরিচিত মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, তার স্ত্রী দলটির ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, হা-মীম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিল। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগদান করে। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।