অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে সারাদেশে গত ১০ দিনে ১৪৪টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সাল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি রিভলভার আটটি, ৪১টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ১৭টি শটগান, ৫টি পাইপগান পাঁচটি, ১৯টি শুটারগান, ১০টি এলজি, ২২টি বন্দুক ও তিনটি এসবিবিএল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও একটি করে একে-৪৭, গ্যাসগান, চাইনিজ রাইফেল, এয়ারগান ও টিয়ার গ্যাস লঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানায় সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং র্যাব এসব যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দফতর। ওই সময়ের মধ্যে জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো খুদেবার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের দুই হাজার ৬৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এছাড়াও তিন লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি গুলি, আট হাজার ৯০৫টি টিয়ারগ্যাস সেল, দুই হাজার ৫৭৬টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৭৫১টি টিয়ারগ্যাস গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি বলেও জানানো হয়।